নানা ঘটনা, আলোচনা, সমালোচনা, হামলা, মামলা শেষে কিছুটা শান্ত এখন এফডিসি পাড়া। হয়ে গেলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আদালতের রায়ে খুশি জায়েদ খান।
এদিকে রায়ের পরপরই বুধবার (২ মার্চ) বিকালে বিএফডিসিতে সমিতির অফিসে ছুটে যান জায়েদ। এসময় সঙ্গে ছিলেন সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
কিন্তু সেখানে ঘটলো আরেক ঘটনা। শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তখন ঝুলছিল তালা। যার চাবি আবার নিপুণের কাছে! এরপর জায়েদের বিকালভর অসহায় অপেক্ষা।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের আদালতের রায় পড়ে শোনান জায়েদ। এরপর নিপুণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কী দরকার এই চেয়ার নিয়ে এত ঝগড়ার। এটা নিয়ে সে (নিপুণ) কোর্টে যাচ্ছে, আমার খারাপ লাগছে, আমাদের শিল্পী বারান্দায় বারান্দায় দৌড়াচ্ছে। এটায় আমি কষ্ট ফিল করছি।’
জায়েদের কথা টেনে ধরে এসময় অভিনেত্রী সুচরিতা বলেন, ‘নিপুণ এসব ভুইলা এই মেধাটা শিল্পে লাগাও না। একটা হিরোইন হিসেবে তুমি নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করো। এসব দৌড়াদৌড়ি করে তো লাভ নেই। অভিনয় ছেড়ে এসব করে কী লাভ সোনা!’
জায়েদ বলেন, ‘আমি তো জোর করে চেয়ারে বসিনি। শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আদালত থেকেও রায় পেয়েছি। তবু চাপে রাখা’।
তারই কথার রেষ ধরে সুচরিতা আবার বলেন, ‘ওর খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। নিপুণ তো তারও হিরোইন’।
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পান জায়েদ খান। কিন্তু ফলাফল মেনে নেননি নিপুণ। তিনি আপিল করেন। একসময় নির্বাচনের আপিল বিভাগ নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদেজয়ী ঘোষণা করেন এবং অবৈধভাবে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন।
পরে পদটি নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। এটি নিষ্পত্তির জন্য চলে যায় উচ্চ আদালতে। সবশেষ বুধবার আদালত জায়েদকে স্বপদে বহাল রাখে।
একাত্তর/ এনএ