দ্রুত বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। ঈদের ছুটি শেষে মানুষ ফিরলে ১৮ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে রাজধানীতে সংক্রমণ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকের।
প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কয়েকটি হাসপাতাল ডেঙ্গুর জন্য ডেডিকেটেড আছে, দক্ষিণ সিটিতে তিনটি হাসপাতালে সেবা মিলবে শুধু দিনের বেলা। সংকট আছে লোকবলেরও। সংকটের কথা স্বীকার করেছে দক্ষিণ সিটি সংশ্লিষ্টরা। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা মোকাবিলায় সবার মধ্যে সমন্বয়হীনতা কমানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর বসাবোর বাসিন্দা জাকিরের। ঈদের দিন থেকে জ্বর না কমায় রক্ত পরীক্ষা করে ৯ জুন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
কেবল রাজধানীরই নয় ঢাকার বাইরের ডেঙ্গু রোগীও এই হাসপাতালে ভর্তি। মুগদা হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ২১ জন রোগী ভর্তি আছেন। যাদের অধিকাংশই ভর্তি হয়েছেন ঈদের ছুটিতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এ বছরে গত ১০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জুনের ১ তারিখ যেখানে ১৪৭ রোগী শনাক্ত হয়, সেখানে ১০ জুন শনাক্ত হয় প্রায় দ্বিগুণ, ২৮৮ জন। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে গাণিতিক হারে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। প্রস্তুতির কমতি নেই।
উত্তর সিটির কোভিড হাসপাতালে প্রস্তুতির কথা দাবি করলেও দক্ষিণে লোকবল সংকটকে সামনে আনছেন স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা ফারিয়া ফয়েজ। তিনি জানান, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর শিশু সদন ও নাজিরা বাজার মাতৃসদনে দক্ষিণের রোগীদের দিনের বেলা সেবা দেবার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য এমন উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ জানান, এ পরিস্থিতিতে আরো অনেক বেশি উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিলো।
সেই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কেবল ঢাকা নয় সারাদেশের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পরামর্শ ডা. বেনজির আহমেদের।