মৌসুম শুরুর আগেই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এবার আবহাওয়া ও এডিস মশার চরিত্র বদল, চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। তাই আগেভাগেই তারা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন সারাদেশের হাসপাতালে।
সাধারণত জুন থেকে ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার মে মাসের শুরুতেই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়ার ও এডিস মশার জীবন আচরণের অমূল পরিবর্তনে শঙ্কায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঢাকার পাশাপাশি অন্য জেলায় এডিস মশার উপস্থিতি বাড়ায়য় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সংকট এড়াতে আগেই ডেঙ্গু সনাক্তের কীট, ওষুধ ও ইনজেকশন স্যালাইনের সম্ভাব্য চাহিদাপত্র আমদানীকারক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে।
প্রায় সোয়া দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকাবাসীর জন্য ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল জহির জানান, এই বছর ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রায় এক হাজার বেড ও ২০০'র বেশী আইসিইউকে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। এবারই প্রথম এক বছরের নীচে শিশুদের জন্য ডেঙ্গু চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড করা হবে।
এখন থেকে এই হাসপাতালে জ্বর নিয়ে এলেই ৩০ মিনিটে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে বলেও জানান ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক।
এদিকে, মঙ্গলবারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে আরও ৪০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।