প্রাচীন মিশরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পুরনো এক ফারাওর মমি সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফারাওর চেহারা 'ডিজিটালভাবে উন্মোচন' করা হয়েছে।
ফারাও প্রথম আমেনহোতেপের এই মমিটি মিশরের দেইর আল-বাহারিতে ১৪০ বছর আগে খুঁজে পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৫২৫ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০৪ পর্যন্ত ফারাও ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
তবে, মমিটির ক্ষতি করার ভয়ে এতদিন সেটির ব্যান্ডেজ খোলা থেকে বিরত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। অবশেষে সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে মমিটির ছবি তোলা হয়েছে।
এর ফলে আমেনহোতেপ ও তার দাফন প্রক্রিয়া সম্পর্কে নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন তারা।
সিটি স্ক্যানের পর জানা গেছে, মৃত্যুর সময় আমেনহোতেপের বয়স ছিল আনুমানিক ৩৫ বছর। তার উচ্চতা ছিল প্রায় পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি। মমির ব্যান্ডেজের নিচে তার শরীরে ৩০টি অ্যামুলেট বা মাদুলি এবং একটি কোমরবন্ধ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: সিডনিতে প্রায় ৯শ' মানুষের করোনা ফলাফলে ভুল
তার শরীরে আঘাত বা রোগের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি যা থেকে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে। তবে সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, মমিটিতে বেশ কিছু মৃত্যু পরবর্তী আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কবরচোরদের দ্বারা এসব আঘাত এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিটি স্ক্যানে আরও দেখা গেছে, মমি বানানোর সময় তার খণ্ডিত মাথা রেজিন ব্যবহার করে জোড়া লাগানো হয়।
আমেনহোতেপ মিশরের ১৮তম রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা ছিলেন। মজার বিষয় হলো, মমি বানানোর সময় তার মস্তিষ্ক অপসারণ করা হয়নি, যা মমি বানানোর প্রক্রিয়ার একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও জানতে পেরেছেন, আমেনহোতেপের মৃত্যুর প্রায় চারশ' বছর পর তার মমিটি বেশ যত্নের সাথে সংস্কার করা হয়েছিল। ২১তম রাজবংশের পুরোহিতরা এ কাজটি করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।