গনতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো ও নিপীড়ন অব্যহত রাখায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, বিমান বাহিনী ও কয়েকটি অস্ত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য। শনিবার (২৬ মার্চ) মার্কিন গণমাধ্যম ন্যাশনাল পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন মিয়ানমারের নতুন নিয়োগ পাওয়া বিমানবাহিনীর প্রধান। এছাড়া সামরিক কর্মকর্তারা যারা অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৬৬ লাইট ইনফেনটি ডিভিশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়ির মধ্যে ৩০ বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সেনাবাহিনীর এই ইউনিটের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অস্ত্র ব্যবসায়ী তাই জোর নিয়ন্ত্রিত দুইটি প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। মিয়ানমারে সাধারণ জনগণের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে বিমান বাহিনী।
এদিকে, কানাডা মিয়ানমারের চার ব্যক্তিসহ দুইটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাসনভার গ্রহণ করে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর এ অভ্যুত্থানকে ভালোভাবে নেয়নি। তারা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। জনরোষ দমাতে সেনাবাহিনী সাধারণ জনতার ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সামরিক বাহিনীর এই দমন পীড়নে ইতিমধ্যে নিহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক।
একাত্তর/এসএ