ইন্দোনেশিয়ায় কাশির সিরাপে ক্ষতিকর পদার্থ থাকার ফলে কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে নিহত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ জন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানায় সংবাদসংস্থা আল জাজিরা।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবছরের জানুয়ারি থেকে হঠাৎ করেই 'একিউট কিডনি ইনজুরি'তে (একেআই) আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যু বেড়ে গেছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তারা।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এ সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ায় সব ধরণের সিরাপ জাতীয় ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার।
ইন্দোনেশিয়ায় কিছু কিছু সিরাপে ইথিলিন গ্লাইকল ও ডাইইথিলিন গ্লাইকলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যেটি গাম্বিয়ায় কিডনির সমস্যায় শিশু মৃত্যুর জন্যও দায়ী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি জানান, দুইটি প্রদেশে এখন পর্যন্ত ২৪১ শিশুর একেআই শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে ১১ শিশুর পরীক্ষানিরীক্ষার পর সাত জনের শরীরে ইথিলিন গ্লাইকল, ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল বিউটাইল ইথারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। এসব পদার্থ একেআই-এর জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদিকে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা পাঁচটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য শনাক্ত করেছে যেগুলোতে অত্যাধিক পরিমাণে ইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। এসব পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, আক্রান্ত শিশুদের বাড়িতে পাওয়া ১০২টি সিরাপের মধ্যে একই ধরণের ক্ষতিকর পদার্থ পাওয়া গেছে। এর সবগুলকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা: সাক্ষ্য দিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন জারি
উল্লেখ্য, এ মাসেই গাম্বিয়ায় জ্বরের সিরাপ খাওয়ার পর ৭০ শিশুর মৃত্যুর তদন্ত করছে দেশটির সরকার। প্রাথমিক তদন্তে ভারতে তৈরি চারটি সিরাপে ইথিলিন গ্লাইকল ও ডাইইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে, ভারতে তৈরি চারটি সিরাপে 'অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে' ইথিলিন গ্লাইকল ও ডাইইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি পেয়েছে তারা।
একাত্তর/এসজে