ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক।
রোববার (২৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাতে এক বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বরিস।
তিনি বলেন, পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তারপরও তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। কারণ এটা নির্বাচন করার জন্য তার সঠিক সময় নয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টে দলের সদস্যরাই যদি একতাবদ্ধ না থাকেন, তাহলে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
বরিস জনসন দাবি করেছেন, ১০২ জন সাংসদের সমর্থন পেয়ে তিনি শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন। তবে প্রকাশ্যে তার পক্ষে ৫৭ জন সাংসদের সমর্থনের ব্যাপারে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে ঋষি সুনাক বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। বরিস জনসন সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ঋষি।
ঋষি সুনাক বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের সময় তার কর্মের জন্য 'আমরা সর্বদা তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব'।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে দলের নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে। তিনিই মূলত দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। নিয়মানুযায়ী পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীনদের আইনপ্রণেতারাই এই নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন। বর্তমানে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য রয়েছেন ৩৫৭ জন। প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো প্রার্থীর পক্ষে অন্তত ১০০ আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন।
এ দফায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেও যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে। বরিস জনসন সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে আমি বিজয় এনে দিতে পারব।
একাত্তর/এসজে