শ্রীলঙ্কায় নির্বাচনের আগে পাশ হওয়া অনলাইন নিরাপত্তা আইন নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের প্রশাসন বলছে, বিলটি সাইবার অপরাধ নির্মূলের জন্য পাস করা হয়েছে।
এর ফলে শিশু নির্যাতন, তথ্য চুরি ও অনলাইন জালিয়াতির শাস্তি দেয়া সহজ হবে। কিন্তু এই দাবি মানছে না সরকার বিরোধীরা। তারা বলছেন, এটা বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
নতুন আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান দেশটির মানুষ।। তারা বলেন, অনলাইন কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন একটি আইনের বিরুদ্ধে এই অবস্থান কর্মসূচি।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নির্বাচনের আগে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার জন্যই এই আইন পাশ করা হয়েছে। বিরোধী দলের দাবি, তড়িঘড়ি করেই পাস করা হয়েছে ‘অনলাইন নিরাপত্তা বিল’।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন বলেন, তাদের মূল লক্ষ্য হলো সামাজিক মাধ্যমে সব আলোচনায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। বিশেষ করে তরুণদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে বর্তমান সরকারের সমালোচনামূলক কন্টেন্টে নিয়ন্ত্রণ আনা। তারা জনগণের জন্য এই আইন পাশ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও বলছে, নতুন এই আইন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে গুরুতরভাবে খর্ব করবে।
গেলো বুধবার শ্রীলঙ্কার আইন প্রণেতারা বিলটি পাস করে। ২২৫ সংসদ সদস্যের হাউজে ৪৬টি ভোটের সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিলটি পাস হয়েছে। যার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১০৮ জন এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬২ জন। এই আইন অমান্য করলে বড় অংকের জরিমানা এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সরকার বলছে, বিলটি সাইবার অপরাধ নির্মূলের জন্য পাস হয়েছে। মূলত শিশু নির্যাতন, তথ্য চুরি ও অনলাইন জালিয়াতি ঠেকাতেই এই আইন, বলছে তারা।
দেশটিতে গত বছর আট হাজার সাইবার অপরাধ হয়েছে। আগামী মন্ত্রী সভার বৈঠকে জনগণের স্বার্থে আরও কিছু নতুন প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী তিরান অ্যালেস।