ব্রিটিশ সেনাদের দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ ছিলো। শত বছরের এই প্রথা থেকে অবশেষে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সেনা কর্তৃপক্ষ। সেনাদের দাড়ি রাখাতে এখন আর কোন বাধা নেই। বাহিনীর যে কোনো স্তরের সেনা ও কর্মকর্তা দাড়ি রাখতে পারবেন। তবে এজন্য কিছু শর্তও দেয়া হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেনাদের দাড়ি রাখতে দেয়ার অনুমতি চেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য। তিনি তাতে সইও করে দিয়েছেন। এরপর থেকেই সেনাবাহিনীতে ‘ক্লিন শেভ’ করার কঠোর নীতি বাতিল হয়। তবে এক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু নিয়ম।
চার মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বয়োজ্যেষ্ঠ নন-কমিশনড ওয়ারেন্ট অফিসার পল কার্নি নতুন নিয়মের ঘোষণা দেন। এতে তিনি জানান, শুধু দাড়ি রাখলেই হবে না, সেটির যথাযথ যত্ন নিতে হবে। রাখতে হবে সুন্দর ও পরিপাটি করে। আর বিষয়টি কঠোর নজরদারিতেও রাখা হবে।
যেতযেনভাবে কিংবা যখন ইচ্ছে তখন রেখে দিলাম এ মনোভাবেও দাড়ি রাখা যাবে না। দাড়ি পূর্বপরিকল্পনা করে রাখতে হবে। শুধু মুখভর্তি দাড়ি এ অনুমোদনের আওতায় পড়বে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৫ থেকে ২৫ দশমিক ৫ মিলিমিটারের মধ্যে। সে সঙ্গে কোনো রং-ও ব্যবহার করা যাবে না।
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সেনাবাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করা হাস্যকর। দাড়ি আধুনিকায়নের অংশ। এমন চাপের ফলে দাড়ি রাখার প্রভাব নিয়ে বছরব্যাপী পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপর এ সিদ্ধান্ত এলো।
এর আগে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ বিমানবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। এর আগে থেকেই দেশটির নৌবাহিনীতে দাড়ি রাখার প্রচলন ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী এ ইস্যুতে কঠোর ছিল। কেবল স্বাস্থ্যগত, ধর্মীয় ও বাহিনীর আভিযানিক স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক সেনা দাড়ি রাখতে পারতেন।