সহসা মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় তাঁকে আদালত চত্বর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারে পরই তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। একই মামলায় এর আগে ইডি কাছে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক কেজরিওয়াল।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন নাকচ করার পরেই জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের একটি দল। এ সময় তার বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়। পরের দিন বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় সিবিআই। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে কেজরিওয়ালকে হাজির করে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। এরপর দু’পক্ষই নিজেদের বক্তব্য রাখেন আদালতের বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের সামনে। সেখানেই সিবিআই কেজরিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন করে। তিন দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।
কেজরিওয়াল দাবি করেন, তাকে কোনো নোটিশ ছাড়াই জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরিওয়াকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের একটি কক্ষে তাকে গ্রেপ্তারের কারণ সম্পর্কে অবহিত করেন তদন্ত সংস্থা সিবিআই।
দিল্লি সরকারের মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলায়, ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গত মার্চে দিল্লির মুখমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিলো। তারপর থেকে কারাগারে আছেন তিনি। ২০ জুন দিল্লির এক নিম্ন আদালত মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যায় ইডি।
মঙ্গলবার রাউস এভিনিউ কোর্টের জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লির হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৎপর হয় সিবিআই। তারপরেই বুধবার সকালে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করলো সিবিআই।
আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার হবার পর কেজরিওয়াল সুপ্রিমকোর্ট থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করার আবেদন জানান। সুপ্রিমকোর্ট আগের আবেদন প্রত্যাহার করে তাকে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেয়। কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা জানান, হাইকোটের আদেশ বাতিলে জোরালো আপিল করা হবে।