পাকিস্তানের সঙ্গে ঘটে চলা সংঘর্ষে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ‘সচল’ করে দিয়েছে ভারত। শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৪৮ সালের টেরিটোরিয়াল আর্মির নিয়মের ৩৩ নম্বর ধারার আওতায় যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেটা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে সহায়তা করার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রত্যেক অফিসার এবং তাতে নথিভুক্ত থাকা প্রত্যেক সদস্যকে মোতায়েন করার জন্য সেনাপ্রধানকে পূর্ণ ক্ষমতা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সাউর্দান কম্যান্ড, ইস্টার্ন কম্যান্ড, ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড, সেন্ট্রাল কম্যান্ড, নর্দার্ন কম্যান্ড, সাউথ-ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড, আন্দামান ও নিকোবর কম্যান্ড, এবং আর্মি ট্রেনিং কম্যান্ডের আওতাধীন এলাকায় মোতায়েনের জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মির ৩২টি ইনফ্র্যান্টি ব্যাটেলিয়নের মধ্যে ১৪টিকে সক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে। যে নির্দেশ ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মহেন্দ্র সিং ধোনি
মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার এমএস ধোনি নামে পরিচিত। ক্রিকেটীয় সাফল্য ছাড়াও তিনি ভারতীয় টেরিটোরিয়াল সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেলের সম্মানসূচক পদমর্যাদা অর্জন করেছেন।
ধোনি ২০১৫ সালে প্যারাসুট রেজিমেন্টের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন এবং বিভিন্ন সামরিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ক্রিকেট এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ধোনির নিষ্ঠা, বিভিন্ন ফ্রন্টে দেশের সেবা করার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে।
কপিল দেব
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার কপিল দেব ২০০৮ সালে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে যোগ দেন। পরে সেনাবাহিনী তাকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদা দেয়। তার বাবা রাম লাল নিখঞ্জও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সামরিক পরিবারে লালিত-পালিত দেবের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং নিষ্ঠার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে যা তিনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহন করেছিলেন।
প্রশ্ন উঠছে তারা কী এখন বর্ডারে যাবেন?
ইটিভি ভারত এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রয়োজনে তাদের যুদ্ধের মাঠে নামতে হতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সতীশ ধাগে জানিয়েছেন, নিজেদের ক্ষেত্রে ভালো কাজের জন্য ধোনিদের সাম্মানিত পদ দেওয়া হয়েছে। সাম্মানিত পদ হলেও যদি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বা সত্যিকারের যুদ্ধ হয়, তাহলে রিজার্ভ ফোর্সের প্রয়োজন হয়। আর সেক্ষেত্রে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ডাকা হয়ে থাকে। কারণ টেরিটোরিয়াল আর্মিও রিজার্ভ ফোর্সের আওতায় আসে। তাই যদি সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ধোনিদের সীমান্তে যেতে হবে। আর নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
যদিও শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা সময় বলবে।