ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির বলছেন, আমাদের জনগণ যখন বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে তখন তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় যেতে পারে না। তিনি দাবি করেন, আমেরিকা প্রথম দিন থেকেই আগ্রাসনে জড়িত। তবে কীভাবে জড়িত আছে সে বিষয়ে কোন প্রমাণ দেননি তিনি।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইরান-ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকা খুবই বিপজ্জনক হবে। আরাঘচি বলেন, ইরান কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, তবে তার জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানে আক্রমণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। কিন্তু ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে রাজি হলে হামলা থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আরাঘচির বলেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ২০১৫ সালে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দেশটির কথিত প্রচেষ্টা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা উত্তেজনার পর বিশ্ব শক্তিগুলোর একটি দলের সাথে তার পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, কূটনীতি অতীতেও কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও আবার কাজ করতে পারে। আমাদের কূটনীতিতে ফিরে আসতে হলে ইসরাইলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। কূটনীতি অতীতেও কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও কাজ করতে পারে। আর ইসরাইলি আগ্রাসন চিরতরে বন্ধের নিশ্চয়তা পেতে হবে।
এদিকে, ইসরাইলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কৌশলে পরিবর্তন এনেছে ইরান। দেশটির সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা এই দাবি জানিয়ে বলেছেন, ইরান এখন আর আগের মতো বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে না। বরং আগের তুলনায় অধিক উন্নত ও নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।
অন্যদিকে, গত কয়েক দিন ধরে ইসরাইল বলে আসছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকলেও তাদের চালানো বিমান হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী যন্ত্রের অন্তত ৫০ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।