বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ আরও ১৮টি দেশের যাত্রীদের ওপর থেকে বিশেষ শর্তে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওমান। গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি গেজেট। এর আগে ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএ) এই ১৮ দেশকে গত এপ্রিল থেকে তাদের লাল তালিকায় রেখেছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে এটি কার্যকর হবে। তবে কেবল অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা কোভিশিল্ড এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা নেওয়া যাত্রীরাই ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। যেসব দেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও উঠে যাবে।
ওমানের সুপ্রিম কমিটির বিবৃতি এবং মেডিকেল রেসপন্স, পাবলিক হেলথ সেক্টর ও রয়্যাল ওমান পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া দেশগুলো থেকে ওমানের নাগরিক, বাসিন্দা এবং ওমানের ভিসাধারী ব্যক্তিরা করোনা টিকা গ্রহণের সনদ থাকা শর্তে ওমানে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের কমপক্ষে ১৪ দিন পার হতে হবে। তাহলেই ওমানে প্রবেশ করা যাবে।
এদিকে করোনার নেগেটিভ সনদ থাকার শর্তে যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। সনদে অবশ্যই কিউআর কোড সংযুক্ত থাকতে হবে। দীর্ঘ সময়ের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ৯৬ ঘণ্টা ও অল্প সময়ের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা পূর্বে করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হতে হবে এবং যাদের কোভিড নেগেটিভ সনদ থাকবে না তাদের ওমানে নামার পর বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করতে হবে।
ফলাফল হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। পাশাপাশি এই সময়ে তাদের হাতে ইলেক্ট্রনিক ট্রাকিং ব্রেসলেট ব্যবহার করতে হবে। আর যদি করোনা পজিটিভ আসে তাহলে বাধ্যতামূলক ১০ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে।
ওমান টাইমস সোমবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। টিকাগুলো হলো- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভ্যাক্সজেভরিয়া এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা, চীনের সিনোভ্যাক, এবং রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি।
বাংলাদেশে একমাত্র রাশিয়ার স্পুটনিক ভি বাদে বাকি তিনটি টিকার প্রয়োগ ইতিমধ্যেই হয়েছে।
একাত্তর/এসি