আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। মহিলাদের পিরিয়ডে রক্তক্ষরণ ও গর্ভাবস্থার কারণে আয়রনের ঘাটতি হয় সবচেয়ে বেশি। আয়রনের ঘাটতির ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। রক্তাল্পতা প্রতিরোধ এবং শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। এখানে পাঁচটি খাবারের কথা বলা হয়েছে যা মহিলাদের মধ্যে আয়রনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পালং শাক
পালং শাকে নন-হিম আয়রন রয়েছে, যা প্রাণিজ পণ্যগুলোতে পাওয়া হিম আয়রনের মতো শরীর দ্বারা সহজে শোষিত হয়না। পালং শাককে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সাথে যুক্ত করলে আয়রন শোষণ বাড়ায়। প্রতিদিনের খাদ্যের অংশ হিসেবে পালং শাক সালাদ, স্মুদি বা ভাজা পালংশাক অন্তর্ভুক্ত করলে আয়রনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।
মসুর ডাল
মসুর ডাল মহিলাদের জন্য আয়রনের একটি ভালো উৎস। ডালে ফাইবার এবং প্রোটিনের সাথে প্রচুর পরিমাণে নন-হিম আয়রন থাকে। মসুর ডাল দিয়ে স্যুপ, স্টু, সালাদ বা সুস্বাদু প্যাটি বা স্প্রেডে তৈরি করা যেতে পারে। নিয়মিত মসুর ডাল খাওয়া শরীরে স্বাস্থ্যকর আয়রনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। কুমড়োর বীজ দইয়ের উপরে ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কুমড়ার বীজে আয়রনের আরও প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। ফলে এটি আয়রন গ্রহণ বাড়াতে চাওয়া মহিলাদের জন্য খাদ্যের একটি উপকারী সংযোজন।
কিনোয়া
এটি শুধুমাত্র প্রোটিন এবং ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উত্স নয় কিনোয়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনও রয়েছে। কিনোয়া একটি বহুমুখী উপাদান যা সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া কিনোয়া সাইড ডিশ হিসাবেও পরিবেশন করা যেতে পারে বা প্রাতঃরাশেও এটি খাওয়া যায়।
চর্বিহীন মাংস
মুরগি, টার্কি এবং গরুর মাংসের মতো চর্বিহীন মাংস হিম আয়রনের চমৎকার উৎস। যা নন-হিম আয়রনের চেয়ে শরীর দ্বারা সহজে শোষিত হয়। চর্বিহীন মাংসের নিয়মিত ব্যবহার আয়রনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য করে।