নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় সবচেয়ে সংকটে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বেশিরভাগ দোকানে কমে গেছে বেচাকেনাও। ক্রেতারা এখন অনেক বেশি চিন্তা করে কিনছেন পণ্য।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বন্ধ থাকায় কোন কোন ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখেছেন। আবার কোন ব্যবসায়ী তেল বিক্রির শর্ত হিসাবে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন ক্রেতাদের।
ময়মনসিংহের মেছুয়া বাজারে সবজি বিক্রি করেন রহিমা খাতুন। তার প্রতিদিনের ভ্যানভাড়াসহ খরচ হয় ২৫০ টাকার ওপরে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এখন কমে গেছে বেচাবিক্রি। তিনদিনেও তিনি ২০ কেজি আলু বিক্রি করতে পারেননি।
একইভাবে রাজশাহীর ষাটোর্ধ্ব কলা বিক্রেতা এমরান আলীর সারাদিনের আয় ৪০০ টাকা। এই টাকায় আগে সংসারের খরচ মিটলেও এখন পারছেন না। কোন রকম ডাল ভাত জুটলেও মাছ মাংস ঘরে আসে না তিন মাস।
এদিকে, রংপুরে সরবরাহ বন্ধের অজুহাতে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে বেশিরভাগ দোকানদার। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজি এখন ৫০ টাকার ওপরে। মাছ, মাংসের দামও চলে গেছে সাধারণের নাগালের বাইরে।
একইভাবে পঞ্চগড়ে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও দেখা দিয়েছে সংকট। পাঁচ লিটারের তেলের বোতল পাওয়া গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না এক-দুই লিটারের বোতল।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে হারিছের ডিএনএ টেস্ট
খুলনায়ও বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি। তবে খোলা তেল পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, বড়বড় কোম্পানি তাদের উৎপাদিত অন্য পণ্য না নিলে তেল বিক্রি করছে না।
ঝিনাইদহের তেল, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে। কিন্তু চাল, মসুর ডাল, মাছ, মাংসের দাম বেড়েছে।