ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডিম আমদানি করতে গেলে তো একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই সত্যি হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটা (দাম) কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে কমানো যায় সেই চেষ্টা করছি। তবে সব কিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব নয়।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠেছে। এর আগে ডিমের দাম এতটা বাড়তে দেখা যায়নি। ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগিও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এই শিল্পের প্রায় ৭০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। মুরগির খাদ্য, পরিবহন ব্যয়, জ্বালানির দাম ও ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মুরগির বাচ্চার দাম না পাওয়ায় দেশে এখন মুরগি ও ডিমের উৎপাদন সঙ্কটে পড়েছে। সব মিলিয়ে দাম বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম যা বাড়ানো হয়েছে, তাতে কেজিতে চালের দাম বড় জোর ৫০ পয়সা বাড়তে পারে। কিন্তু ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। এর কোন যুক্তি থাকতে পারে না। তার মানে কেউ কেউ অতি মুনাফার সুযোগটা নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ পণ্য পরিবহন খরচ বাড়ানোরও সুযোগ নিচ্ছে। তবে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টিপু মুনশি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের কারণে মানুষ কষ্টে আছে সেটা আমরা স্বীকার করি। এজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ইতিবাচক প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। আগামী দু’এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে বলে টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে -সেটি যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদাতে আস্থা নেই বিএনপির: ফখরুল
তিনি জানান, ১ কোটি ডিজিটাল ফ্যামিলি কার্ডের প্রায় ৯৫ শতাংশই ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীরা পেয়ে গেছেন। বাকি ৫ শতাংশ দ্রুত বিতরণ শেষ হবে।
একাত্তর/আরএ