পাকিস্তানি বাহিনীর মতো নাশকতাকারীরা আবারও আগুন সন্ত্রাস করে জ্বালাও পোড়াও চলাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হয়, পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়।
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরত্ব পুরস্কার পাওয়া নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধকে বাঙালির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি আবারও শুরু হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস। কীভাবে একটা মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে? এটা ভুল। অগ্নিসংযোগকারীদের মধ্যে চেতনা ফিরে আসুক।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের মধ্যে অসামান্য অবদানের জন্য শান্তিকালীন পদক দেন।
এর আগে সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনটি পালনের সূচনা করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত শেখ হাসিনা দর্শণার্থী বইয়েও সই করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
একাত্তর/এসি