ঈদযাত্রায় এবার চাপ বেড়েছে আকাশ পথেও। দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানের তিনটি রুটের টিকেট তিন দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান ১৮টি বাড়তি ফ্লাইট যুক্ত করেছে। তবে শেষ দিকে টিকেটের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনগুন।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যা। অবস্থাসম্পন্ন মানুষ বাস, ট্রেনের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে কম সময়ে স্বস্তির ঈদযাত্রায় বেছে নেন আকাশ পথ।
অভ্যন্তরীন রুটের মধ্যে ঢাকা থেকে রাজশাহী, সৈয়দপুর ও যশোর রুটের টিকেট শেষ হয়ে গেছে তিন দিন আগে। ঈদের পর সবচেয়ে বেশি চাপ দেখা দিয়েছে ঢাকা কক্সবাজার রুটে।
বেসরকারী এয়ালাইন্সগুলো বলছে, ঈদের আগে ঢাকা ছাড়ার যাত্রী চাপ থাকলেও ফিরতি ফ্লাইট আসছে ফাঁকা। ঈদের পরের পরিস্থিতিটাও একই। তখন ঢাকা ছাড়ার যাত্রী চাপ নেই।
অভ্যন্তরীন রুটে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। ঈদের আগে ও পরের দশ দিনে ৬০০ ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। ঈদের আগে আকাশ পথে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ নিয়ে এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, বিশ্ব জুড়েই বিমানের ভাড়া চাহিদার বিপরীতে নির্ধারন হয়। দেশের বাজার এর ব্যাতিক্রম নয়।
বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ঈদ উপলক্ষে অভ্যন্তরীন রুটে অতিরিক্ত ১৮টি ফ্লাইট দেয়া হয়েছে। অনলাইন ব্যাংকিং ও কল সেন্টার থেকে টিকেট কিনলে দেয়া হচ্ছে ১০ শতাংশ ছাড়।
অনলাইন টিকেট এজেন্সি ওটিএ বলছে, উড়োজাহাজের টিকেট ক্রয় পদ্ধতি সহজ হওয়ায় দিন দিন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে।
চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে যাত্রী চাপ রয়েছে স্বাভাবিক। তবে পদ্মা সেতুর কারনে সবচেয়ে যাত্রী খরায় ভুগছে ঢাকা বরিশাল রুটের ফ্লাইটগুলো।