জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংশোধিত শ্রম আইন পাশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, আইন পাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না, কলকারখানায় শ্রমিক সংগঠন করার ক্ষেত্রে মোট শ্রমিকের কতো শতাংশে সম্মতি থাকতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটা সংশ্লিষ্ট মহলের ওপর নির্ভর করছে।
মহান মে দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
গত বছরের দুই নভেম্বর ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল–২০২৩’ পাশ হয় একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে। এরপর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। কিন্তু ‘মুদ্রণ’ ভুল থাকায় পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি।
শ্রম আইনের পাশাপাশি সংশোধনী আনা হয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইনেও। আর এসব পরিবর্তনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়াগুলো পূরণ করার কথা এর আগে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য সচিব।
এদিন প্রতিমন্ত্রী নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র অনুরোধেই যাচাই বাছাই সাপেক্ষে শ্রম আইন সংশোধন করে পাশের উদ্যোগ নেয়া। না হলে আরো আগেই আইনটি পাশ করার ইচ্ছা ছিলো সরকারের।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের শ্রমখাতে এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে শ্রমিক-মালিক-সরকার, সবার স্বার্থই রক্ষা পাচ্ছে।
এদিনই মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পোতিয়েনেন।
বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কলকারখানায় শ্রমিক সংগঠন করার ক্ষেত্রে মোট শ্রমিকের ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি থাকার বিষয়ে আইএলও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে ১০ শতাংশে যাবে।
‘তারা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাদের বোঝানো হয়েছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের অধিকার ও বিশ্ব মহলের পরামর্শগুলো সাংঘর্ষিক নয়,’ যোগ করেন আইনমন্ত্রী। এরপরও যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শ্রমখাতের বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, সুনির্দিষ্ট আইন লঙ্ঘনে মালিকদের আর্থিক জরিমানা ২০ হাজার বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হবে।