জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী সপ্তাহে সরকারের আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে কথা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলো এটা নিয়ে কথা বলছে। ছাত্ররা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণা দিয়েছিলো তারা এটা দেবেন। এটা যদি শুধু ছাত্রদের কাছ থেকে যায় তাহলে বাংলাদেশে যে ইউনিটি (একাত্মতা) আছে সেটার ক্ষতি হতে পারে। সরকার দায়িত্ব নিয়েছে যে সবগুলো পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটা ডকুমেন্ট তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক নয়, গণঅভ্যুত্থানে যত পক্ষ আছে, সবার সঙ্গে কথা বলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডকুমেন্টারি প্রসঙ্গ এবং কবে ঘোষণাপত্র, কীভাবে ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে বা ঘোষিত হবে সেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
৫ আগস্টের পর থেকে মাজার, কাওয়ালি গান বা সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় হামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলার ব্যাপারে অনেক সময় স্পষ্ট ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমরা এজন্য দুঃখিত। এখন থেকে কোনো গানের আসর অথবা মাজারে হামলা হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। এ ব্যাপারে শক্ত ভূমিকা নেওয়ার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ময়মনসিংহে যে ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ৫ আগস্টের পর থেকে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। যারা বিক্ষুব্ধ আছেন মামলা করুন, আমরা পদক্ষেপ নেবো।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটা দাবি আছে। বর্তমান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সরকার, সেখানে আমাদের মনে হচ্ছে ঐকমত্য দরকার। ঐকমত্যের জায়গায় যদি আমরা পৌঁছতে পারি যে, সংবিধান কী করব? কী করতে চাচ্ছি। যেসব বিষয়ের দ্বিমত আছে, সেসব বিষয়ের আলোচনা করে ঘোষণাপত্রে আমরা লিপিবদ্ধ করবো।
এদিন ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।