সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। এটি বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে শুক্রবারও (৩০ মে) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিলো, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এই নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করা শুরু করে। এর প্রভাবে দেশের অন্তত ১৪ জেলার বিভিন্ন স্থানে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সাময়িক প্লাবিত হতে পারে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলেও। পাশাপাশি, পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধস নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় অন্তত ১৬ জেলা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।