সেকশন

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
 

শেখ হাসিনাতেই আস্থা কেন?

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম

রাষ্ট্রের নানা সমস্যা মাথায় নিয়েও যিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সকল প্রকার সুখ-দুঃখের খবর রাখেন; তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুধু একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, সে দেশের জনগণের জন্য একজন মমতাময়ী মা-ও বটে। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ সকলকে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছেন তিনি। 

কোটি কোটি মানুষের আলোর পথের দিশারী যেমন হয়েছেন, তেমনি তাদের শিখিয়েছেন আলোকিত জগতের মানে কি। দরিদ্র্যতা নিরসন থেকে শুরু করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, জেলে ভাতা-র মতো অসংখ্য অনুদানের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে তাদের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি যেমন দিয়েছেন তিনি, তেমনি নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি।

'স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। ঘরবাড়ি হারিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এখানে এসেছেন, তারা সাময়িক আশ্রয় পাবেন। আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।'- কথাগুলোর মাঝেই নিরীহ রোহিঙ্গাদের জন্য তাঁর মমত্ববোধ ফুটে ওঠে। 

১৯৭৭ সাল থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম অত্যাচারিত ও নিপীড়িত জনগোষ্ঠী। সেনাবাহিনীর জীবনঘাতি আক্রমণ থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এসব রোহিঙ্গারা। তাদের অনেকেই সমুদ্রের অতলে হারিয়েছেন নিজেদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, কেউ বা একেবারে নিঃস্ব হয়ে এসেছে এ দেশে৷ তাদের না ছিল থাকার জায়গা, না ছিল খাবার। শুধুমাত্র কাচা কলা খেয়ে বেচে থাকার মতো মুহূর্তেরও মুখোমুখি হতে হয় তাদেরকে। 

১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরিত দেশ হিসেবে না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সবসময় তাদের পাশে ছিল। ‘১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে ৭ লাখ মানুষকেও খাবার দিতে পারবো’- উক্তিটির মাঝেই রোহিঙ্গাদের জন্য শেখ হাসিনার মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি অর্জন করেন ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ উপাধি।

ব্রিটিশ শাসনামলের খপ্পরে পড়ে বাংলা সব হারায়। পরিচিত হয় “দারিদ্র্য” নামক শব্দটির সাথে। স্বাভাবিক জীবনযাপন তো দূরের কথা! ভিক্ষুকের চেয়েও মানবেতর জীবন ছিল বাঙালিদের। ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন 'সোনার বাংলা' বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন। 

অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর থেকে শুরু করে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বৃদ্ধি, ছিন্নমূল ও দুঃস্থ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ তারই স্পষ্ট প্রমাণ। এমনকি কোভিড-১৯ এর মহামারির খরাও খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠেন তিনি। 

'খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২' অনুযায়ী, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ; যেখানে ২০০০ সালের শুরুর দিকে তার পরিমাণ ছিল ৪৮.৯ শতাংশ । জরিপটিই প্রমাণ করছে বঙ্গবন্ধু কন্যা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে গরিব, অসহায়, দুঃস্থ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কতটা আন্তরিক ছিলেন। তিনি বহুমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে মাতৃ মৃত্যুহার ৩৭০ থেকে ১৬১ তে আনেন। তিনি সবসময়ই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা মাথায় রাখেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১,৩০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন যা মোট বাজেটের ১৭.০৭ শতাংশ এবং জিডিপির ২.৫৯ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, বিধবা ভাতা কার্যক্রম, দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম ইত্যাদি। 

১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে শুরু হওয়া বয়স্ক ভাতায় যেখানে প্রতি ওয়ার্ডের ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো, যেখানে সর্বমোট ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৪.০৩ লক্ষ; সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভাতাভোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮.০১ লক্ষ জন যাদের প্রত্যেকের মাসিক ভাতা ৬০০ টাকা করে। বয়স হয়ে যাওয়ার পর বোঝা হিসেবে গণ্য হওয়া এসব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সাহস যোগান শেখ হাসিনা। 

একইভাবে তিনি বিধবা নারীদের কষ্টও লাঘব করেন। সমাজে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হওয়া এসব নারীদের জন্য ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে চালু হওয়া 'বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা'র পরিমাণ ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৫৫০ টাকা করেছেন  এবং ভাতাভোগীর সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 
শুরুতে এ খাতে ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৪.০৩ লক্ষ যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫.৭৫ লক্ষ্যে দাঁড়িয়েছে। অসচ্ছল ও দুস্থ প্রতিবন্ধীদের নিরাপদ স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয় এবং এ খাতে বর্তমানে উপকারভোগীর সংখ্যা ২০.০৮ লক্ষ (২০২২-২০২৩)। 

মাতৃত্বকালীন সময়টি প্রতিটি নারীর জীবনে এক অন্যরকম অধ্যায়। প্রায় সবসময়ই নিয়মিত একটা ডাক্তারি চেক আপের মধ্যে থাকতে হয় তাদের। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তারা অনেকেই ডাক্তারি চেক আপ করাতে পারে না; ফলস্বরূপ অকালমৃত্যু হয় অনেক মায়ের কিংবা অনেক নবপিতা-মাতা হারায় তাদের সন্তানদের। এরই লক্ষ্যে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রথমবারের মত মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান শুরু হয়। কিন্তু এত অল্প পরিমাণ ভাতায় গর্ভবতী মায়েদের তেমন কোনো উপকার হয়নি।

  

তাই মমতাময়ী শেখ হাসিনা ২০২১-২২ অর্থবছরে পুনরায় সে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় আনেন। এভাবে তিনি অসংখ্য গর্ভবতী নারীর ভালোবাসা জয় করে নেন। এবারে বলতে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে করুণ একটি দৃশ্যের কথা! দীর্ঘ নয় মাস যাদের অক্লান্ত, নিঃস্বার্থ পরিশ্রমে আমরা আমাদের স্বাধীন- সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদেরই সমাজে কোনো সম্মান ছিল না। 

অনেকে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সন্তানেরা তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যেত কিংবা অনেকের আবার থাকার বাসস্থান না থাকায় রাস্তায় দিনযাপন করত। এসব ঘটনা প্রায়ই খবরের চ্যানেলের কল্যাণে আমাদের নজরে আসে। শেখ হাসিনা তাদের পাশেও মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি ২০২১-২২ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন। 

পাশাপাশি আরও কয়েকটি খাতে তাদের জন্য ভাতা নেওয়ার ব্যবস্থা রাখেন। সচ্ছলতা ও আলোর মুখ দেখেন জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৯৭ সালেই বাংলাদেশের ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তখন গৃহায়ন ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সংস্থা এ তহবিল হতে মাত্র ১.৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭ বছর মেয়াদি গৃহনির্মাণ ঋণ বিতরণ করে। 

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তিনি ১০,০০০ টি গৃহপ্রদান করেন গৃহহীনদের মাঝে। ইতোমধ্যে, এ কর্মসূচির আওতায় নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭১৪ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেন। এর মাধ্যমে মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। শুধু গৃহপ্রদান করেই থেমে থাকেন নি তিনি, চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন তিনি।

সমাজের উঁচু-নিচু সকল স্তরের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর অবদানে বেদে, জেলে থেকে শুরু করে হিজড়ারা পর্যন্ত সমাজে মাথা তুলে বেচে থাকার সাহস পেয়েছে। 

২০২১-২২ অর্থবছরে বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৯.২৩ লক্ষ টাকা করা হয়। সমাজে মর্যাদা পায় বেদে জনগোষ্ঠী। নদীমাতৃক দেশে জেলেরা প্রধান কর্মজীবী মানুষ হলেও আমাদের দেশে তাদের অবস্থান সবার নিচুতে। অনেক কষ্টের জীবন তাদের। 

শেখ হাসিনা তাদের জন্যও নির্দিষ্ট একটি ভাতা বরাদ্দ করেন। হিজড়া শব্দটি শুনলেই আমরা কেমন নাক সিটকাই। কিন্তু তারাও তো মানুষ! শেখ হাসিনা তাদেরও নগণ্য করে দেখেননি। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তাদের জন্য প্রথম ৭ টি জেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তাদের সহায়তায় ৫.৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। আলোর মুখ দেখে ৫,৭৪৫ জন হিজড়াসহ সকল হিজড়া। স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদের অধিকারের পক্ষে অনেক আইনি লড়াইও করেছেন তিনি। 

চা-শ্রমিক, পোশাক শ্রমিকদের জন্যও তিনি কাজ করে গিয়েছেন। তিনি চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে চা শ্রমিক সমাজ শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। তিনি ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্যও একইভাবে কাজ করেন। 

জাতীয় স্কেলে বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করেন তিনি। জানা যায়, প্রকল্পের প্রতিটি মসজিদের খতিব জাতীয় বেতন স্কেলের ৮ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। সে হিসেবে একজন খতিবের মূল বেতন হবে ২৩ হাজার টাকা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসনের লক্ষ্যে তিনি ১২ তলা বিশিষ্ট ভবন তৈরি করা থেকে শুরু করে কোটি টাকার ঋণ প্রকল্প হাতে নেন। 

তাঁর সবচেয়ে বড় মমতাময়ী অবদান প্রতিবন্ধীদের প্রতি। সমাজের সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশু এরা। তাদের না থাকে সকলের সাথে খেলার অধিকার, না থাকে বাঁচার অধিকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি এ বিষয়টিকে এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছেন। 

২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২রা এপ্রিল অটিজম সচেতনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি এদিন অটিস্টিক শিশুদের সাথে কাটান। 

তিনি সবসময় তাদের সকল প্রকার সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। সকল প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের জন্য ট্রাস্ট গঠন করা,বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা,  বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি, ৬৪ জেলায় ১০৩ টি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্র স্থাপনসহ তাদের সুবিধার্থে অনেক কাজ করে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। 
এমনকি শুভেচ্ছা কার্ডের ডিজাইনও বেছে নেন অটিস্টিক শিশুদের থেকেই। এ কাজের জন্য পুরো দেশ তথা বিশ্বে তিনি ও তার কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল সকলের প্রশংসা কুড়ান।

একজন প্রশাসক হলেও সবার আগে তিনি একজন মা। নিজের ঘরেও দুইটি সন্তান রয়েছে। তাই তো তিনি প্রশাসন ও লাভ ক্ষতির কথা ভাবার পাশাপাশি দেশের অসহায় জনগণের প্রতি সমান গুরুত্বারোপ করেছেন।

ঈদের সময় বিকাশের মাধ্যমে ভাতা নেওয়ার সুবিধা চালু করা থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মমতাময়ী এ নারী। তাঁর হাত ধরেই অন্ধকার মানবেতর জীবন থেকে পা বাড়িয়ে আলোর জগত দেখে পুরো দেশবাসী। তাই “মাদার অফ হিউম্যানিটি” খেতাব বৃথা যায়নি বললেই চলে। এমন মমতাময়ী মা সকলের ঘরে ঘরে থাকুক।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
এআরএস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী এক ধরনের প্রচারণা চলছে। সেখানে ভারতীয় পণ্যসহ দেশটিকে 'বয়কট' নিয়ে করা বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন চলছে। যারা এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের...
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান হাতিয়ার। কারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তারা জনগণের একেবারে কাছাকাছি যায়, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে এবং নেতৃত্ব বিচার করে। শুধু যেসব রাজনৈতিক দল...
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এতোদিন আন্দোলন করে আসছিল। এখন কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়কে ইস্যু হিসেবে যুক্ত করেছে।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়...
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার কিছু সময় পর এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিলো অখ্যাত সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ।
ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত