সেকশন

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
 

জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনই আওয়ামী লীগের ইশতেহার 

আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং বাস্তবায়ন করেন অনেক অসাধ্য কর্মসূচির। একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য, বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর একটি সময়োপযোগী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। 

সংবিধান প্রণয়ন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ব্যাংক, জীবন ও সাধারণ বীমা, পাট-বস্ত-চিনি শিল্পসহ পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিমান ও জাহাজ কর্পোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয়করণ, কৃষক সমাজের দুর্দশা দূর করে চাষিদের স্বল্পমেয়াদি সাহায্য দানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ও ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি IRDP এর ওপর গুরুত্বারোপ এবং বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা, ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল সড়ক সেতু পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন, সব শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন মওকুফ ও একই সঙ্গে শিক্ষকদের ৯ মাসের বেতন পরিশোধ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ ও দেশ স্বাধীনের পর ৭৪৮২ জন ডাক্তার, ৮২১ জন নার্স ও ১০৯২ জন ধাত্রী নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন। 

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে যারা দেশকে স্বাধীন করেছেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ ও শহিদ এবং আহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে রাষ্ট্র কর্তৃক সাহায্যের ব্যবস্থা এবং স্বাধীন দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে নৈতিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ১৫ জানুয়ারি সরকারি আদেশের মাধ্যমে মদ, জুয়া, হাউজি ও ঘোড়দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা ও  ৯টি রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৃষি, যোগাযোগ, শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রেই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।  

পিতার পর কন্যার হাত দিয়েই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে জাতিকে প্রদত্ত প্রতিটি অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইশতেহারেই সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা ছিল। এর প্রতিটিই অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই পথনকশা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে তার চার মেয়াদে দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। এ ইশতেহারকে বলা হয়- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ইশতেহার’। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ‘স্মার্ট সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। 
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। তার মধ্যে প্রথমটিই ছিল ‘দ্রব্যমূল্য’। ২০০৮ সালে উপশিরোনামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বলেছিল, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং বিশ্বমন্দার মোকাবিলায় সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত’ করার কথা। 

বাকি চারটি হলো, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ’, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি’, ‘দারিদ্র্য ঘুচাও বৈষম্য রোখো’ এবং ‘সুশাসন’। সুশাসনের মধ্যে ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি, যা গত ১৫ বছরে কার্যকর হয়েছে। 

যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান। অনেকের বিচার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং সাজাও কার্যকর হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুর্নীতি কমেছে। বিদ্যুতের কথা যদি বলতে হয়, তবে স্বপ্নের মতো লাগে সব কিছু। লোডশেডিংকে আমরা মোটামুটি জাদুঘরে পাঠিয়েছি। এবারের সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে। 

দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি প্রথমেই স্থান পেয়েছে। দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই হবে নির্বাচনে জিততে পারলে আওয়ামী লীগের প্রথম এবং প্রধান অঙ্গীকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার অতীত প্রতিশ্রুতিগুলো সব সময়ই রেখেছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

২০১৪ সালে ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে’ শিরোনামে এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন দল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’- স্লোগানে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। বিগত তিনটি নির্বাচনী ইশতেহার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সফলভাবে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পূর্বের ইশতেহারের ধারাবাহিকতায় এবার  ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে । বিগত নির্বাচনের ইশতেহারের সফল বাস্তবায়নের মতোই, আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালের নির্বাচনের ইশতেহার কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আত্মবিশ্বাসী। অতীতের অর্জনকে স্বীকার করে এবং চ্যালেঞ্জ ও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, এবারের ইশতেহারে একটি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যা কর্মসংস্থান, সুশাসন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ওপর দৃষ্টি রেখে করা। 

এছাড়া এই রূপরেখায় বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি পরিশীলিত, ধনী এবং জ্ঞানী জাতিতে পরিণত হবে। এটিকে সামনে রেখে যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে তাতে ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সুশাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিকাশ, কর্মোপযোগী প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ঋণ সরবরাহ, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমন, দেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে তরুণ ও যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ করে 'তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি' আনয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। 

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন; কিন্তু করোনা অতিমারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে বিশ্বমন্দা শুরু হয়েছিল তার ধাক্কা বাংলাদেশেও লাগে। বিশ্ব বাজারের চাপটাও বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থায় সরাসরি পড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাপন কিছুটা হলেও কষ্টকর হয়েছে। সাধারণ মানুষতো আর ইউক্রেন যুদ্ধ বোঝে না। সাধারণ মানুষ মুদ্রাস্ফীতি বোঝে না। সাধারণ মানুষের কাছে এ জন্য এ বিষয়টি খুব জরুরি। 

এর বাইরে আরও যে ১০টি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তা হলো- ২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। ৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো। ৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা। ৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা। ৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। ১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা। ১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তি সক্ষমতা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য আমরা ‘স্মার্ট নাগরিক’, ‘স্মার্ট সরকার’, ‘স্মার্ট অর্থনীতি’ ও ‘স্মার্ট সমাজ’-এই চারটি স্তম্ভের সমন্বয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দেই। 

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছি। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এদেশের মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছে, নতুন আশার সঞ্চারণ ঘটিয়েছে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলেই অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে। 

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য, মাথাপিছু আয় ২৭৯৩ মার্কিন ডলার; বর্তমান বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা; জিডিপির আকার ৫০ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা; রপ্তানি আয় ৫৩.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; হ্রাসকৃত দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%; মাতৃমৃত্যুর হার ১৬১ জন (প্রতি লাখে); বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট; সরকারি চিকিৎসকের সংখ্যা ৩০ হাজার ১৭৩ জন; সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৭১ হাজার; শিক্ষার হার ৭৬.৮%; প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৯৮.২৫%; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৮৮৯১; শস্য উৎপাদনের পরিমাণ ৪ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন; ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের সংখ্যা ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৪; ৭৮.৫৫% মানুষ ইন্টারনেট কাভারেজ এবং ব্যবহারের অধীনে; আইটি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখ ৮০ হাজার; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় মোট ১০ কোটি ৮১ লাখ মানুষ সুবিধাভোগী; জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ ৩২৬৭৮ কি.মি; কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১২ কোটি ৩৩ লাখ ব্যক্তি; ৪৩.৪৪% নারী কর্মশক্তিতে অংশগ্রহণ করছে এবং শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা ইত্যাদি। উপরন্তু পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলাকে ঢাকার সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগের আওতায় এনেছে। 

ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণের একটি পদক্ষেপ। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, পতেঙ্গাকে আনোয়ারার সঙ্গে সংযুক্ত করে, বন্দর নগরীকে একটি ‘ওয়ান ওয়ে, টু টাউন’ মডেলে রূপান্তরিত করেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন বাংলাদেশের জন্য আরেকটি মাইলফলক। 
সর্বোপরি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসব নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। সকলেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে সানন্দের সাথে গ্রহণ করেছে। আমার বিশ্বাস চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে মানুষ দলমত নির্বিশেষে আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। 

লেখক: চেয়ারম্যান, জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

এআরএস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী এক ধরনের প্রচারণা চলছে। সেখানে ভারতীয় পণ্যসহ দেশটিকে 'বয়কট' নিয়ে করা বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন চলছে। যারা এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের...
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান হাতিয়ার। কারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তারা জনগণের একেবারে কাছাকাছি যায়, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে এবং নেতৃত্ব বিচার করে। শুধু যেসব রাজনৈতিক দল...
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এতোদিন আন্দোলন করে আসছিল। এখন কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়কে ইস্যু হিসেবে যুক্ত করেছে।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়...
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক দেখতে চায় ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল এসিসটেন্ট (আইডিইএ)। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপরও জোর...
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার কিছু সময় পর এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিলো অখ্যাত সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ।
ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত