সেকশন

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
 

কেন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন এতোটা গুরুত্ব পাচ্ছে?

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন।

বাংলাদেশের আগের কোনো নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে এতটা আলোচনা সমালোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। পাঁচ বছর আগে হওয়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল দেশের সকল প্রধান রাজনৈতিক দল। কিন্তু সেই নির্বাচন নিয়েও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কৌতূহল ছিল এবারের থেকে তুলনামূলকভাবে কম। 

বিভিন্ন দেশের নামকরা সংবাদপত্র বা সাময়িকীগুলোতেও  এবারের এই নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন বেরিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা অন্যান্য প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোও বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অতীতে যে কোনো সময়ের থেকে বেশি তৎপরতা দেখিয়েছে। 

বলার অপেক্ষা রাখে না বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার একক দাবিদার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক হারে বেড়েছে; ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সত্ত্বেও দেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা লাভ করেছে ; বাংলাদেশের রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে হয়েছে ।

উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, দেশ আজ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্রের বাধা সত্ত্বেও, আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্যে যে নির্বাচন আয়োজন প্রয়োজন ছিল শেখ হাসিনা তা করে দেখিছেন। নির্বাচনে ৪১ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছে যা অনেক পুরোনো গণতান্ত্রিক দেশেও এই আধুনিক সময়ে বিরল। মানুষ আগুন সন্ত্রাসের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছে। 

শেখ হাসিনা বহুবার দেশেকে অনেক গভীর সংকট থেকে তুলে এনেছেন। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতির এক সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন, যা কিনা ১৯৩০-এর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার চেয়ে গভীরতর ছিল, তার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উৎরে গেছে সেই সংকট। 

২০১৫ সালের তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্জন করেছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা; ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারির সময় তিনি পুরো পৃথিবীকে দেখিছেন অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও শুধু জনগণের প্রতি ভালোবাসার জন্যে কি করা যায়, তিনি টিকা উৎপাদনের আগেই উৎপাদনকারী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ডোনেশন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে  নিশ্চিত করেছিল টিকা প্রাপ্তি। 

বিশ্ব উন্নয়নের এসব সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত উপস্থিতি, অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব তাঁকে শুধু একটি দুর্লভ মাত্রিকতাই দান করেনি, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ঋদ্ধ করেছে।

তাই পৃথিবীব্যাপী আজ বাংলাদেশকে বন্দনা, বাংলাদেশের নির্বাচন তাই আজকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আলোচনার বিষয়বস্তু। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ নির্বাচিত নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত , চীন, মার্কিন মিত্র জাপান ,রাশিয়া ও  মধ্য প্রাচ্যের প্রায় সকল দেশ, আমেরিকা নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে  ও নতুন সরকারের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

নতুন সরকার গঠনের পর মন্ত্রী সভায়ও স্বভাব সুলভ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রী সভার ৩৭ জন সদস্যের মধ্যে যেমন অভিজ্ঞ ও সফল পুরোনো মন্ত্রীরা রয়েছেন তেমনি তরুণ ও নতুন নেতৃত্বকে সুযোগ দিয়েছেন স্বপ্নে সঠিক লক্ষ্যে ছুটিয়ে নেয়ার। মন্ত্রী সভায় যেমন আছেন অনেকবার নির্বাচিত সংসদরা তেমনি আছেন একবারে প্রথমবার নির্বাচিত তরুণরাও। 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে আগামীর যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার শেখ হাসিনা করেছেন তার জন্যে যথার্থ মন্ত্রিসভায় তিনি তৈরি করেছেন। একই সাথে তিনি জানেন বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিদের আগ্রহের কারণও এই তরুণ কর্মক্ষম জনশক্তি। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগের উপর কর্মক্ষম, শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে তা এক ওপার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি, যা বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে। 

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, বসেছিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে, কিন্তু ২ বছরের মাথায়ই তিনি জনস্বার্থে পদত্যাগ করে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলেন যুগপৎ আন্দোলন । তার কাছে জগণের ভোটের ও ভাতের অধিকারী ছিল সব সময় মুখ্য, তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি, আগুন সন্ত্রাসীদের ভয়ে পশ্চিমা রুটিন মানেননি। 

জনগণের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর অন্যায়ের সাথে আপোষহীন দৃঢ়চেতা মনোভাবই ২০২৪ সালে তাকে ৫ম বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করেছে , আর বাংলাদেশকে করেছে বিশ্ব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

একাত্তর/এসি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী এক ধরনের প্রচারণা চলছে। সেখানে ভারতীয় পণ্যসহ দেশটিকে 'বয়কট' নিয়ে করা বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন চলছে। যারা এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের...
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান হাতিয়ার। কারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তারা জনগণের একেবারে কাছাকাছি যায়, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে এবং নেতৃত্ব বিচার করে। শুধু যেসব রাজনৈতিক দল...
ক’দিন ধরেই চারদিকে ফিসফাস… নির্বাচন হচ্ছে তো? চারদিকে ধুন্ধুমার প্রচার। নির্বাচনী সরকার এবং দলীয় নানা প্রস্তুতি। গণমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ খবর নির্বাচন কেন্দ্রিক। বিদেশি গণমাধ্যমেও ছেয়ে গেছে দেশ। তবু...
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ৭ জানুয়ারি ২০২৪। এরইমধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে প্রার্থীরা প্রচার শেষ করেছেন। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। একথা ঠিক, বিএনপির মতো...
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক দেখতে চায় ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল এসিসটেন্ট (আইডিইএ)। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপরও জোর...
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার কিছু সময় পর এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিলো অখ্যাত সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ।
ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত