দাখিল মাদরাসার সহকারী (মৌলভী) শিক্ষকদের নবম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মো. মহিউদ্দিন মহিম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সচিবসহ (এমপিও) সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট মো. মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও সুলতানুল ইসলামসহ পাবনার মোট সাতজন সহকারী মৌলভী শিক্ষক এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী আইনজীবী মো. মহিউদ্দিন মহিম গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেসব সহকারী মৌলভী শিক্ষক মাদরাসায় যোগদান করে ১৬ বছর পূর্ণ করেছেন, তাদের নবম গ্রেডে উন্নীত করার আদেশ দিতে হয়। সে হিসেবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দিতে হয়। কিন্তু রিটকারী এ সাত শিক্ষকের ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। তারা এখনো দশম গ্রেডে চাকরি করছেন।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাসির-তামিমা
তিনি বলেন, এই সাত শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই ১৮ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে চাকরি করেছেন। তারপরও তাদের নবম গ্রেডের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য সংক্ষুব্দ হয়ে তারা রিট আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারি করেন।
একাত্তর/এসএ