সংস্কারের পর ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই চলছে যানবাহন। চালকরা বলছেন, ঈদযাত্রায় লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সড়ক হবে স্বস্তির। কিন্তু রুট বদলে যদি সব বাহন সড়কে নামলে তৈরি হতে পারে নৈরাজ্য।
তবে বাস মালিক সমিতির নেতারাও বলছেন, রুট বদলে লোকাল বাস মহাসড়কে চলার তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারাও চান, কোন দুর্ভোগ ছাড়াই মানুষ যেতে আপন ঠিকানায় যেতে পারে। ঈদযাত্রার সময় চিরদিন ভোগান্তির অবসান চান তারাও।
এরিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মানুষের ঈদযাত্রা। গেলো দুই দিনে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পথে নেমেছেন বহু মানুষ। তবে আসল স্রোত শুরু হবে বুধবার থেকে। প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় যাত্রীর কাছে আতঙ্ক হয়ে দেখা দেয় ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের তীব্র যানজট।
এবার সেই চিত্র দৃশ্যপটের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। এরিই মধ্যে শেষ হয়েছে ব্যস্ত ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের সংস্কার কাজ। এখন অনেকটা নির্বিঘ্নেই যানবাহন চললেওএ পুরোপুরি শেষ হয়নি এই সড়কের ভোগান্তি। কারণ বিআরটি নির্মাণ কাজ চলার কারণে সড়ক গতি কম।
গেলো প্রায় এক দশক ধরে ঢাকা গাজীপুর মহাসড়কটি ঈদযাত্রায় অন্যতম এক ভোগান্তির নাম। কারন বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বিআরটিএ প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে যা আজও চলছে।
চালকরা বলছেন, কদিন আগেও পুরো সড়ক ছিলো খানাখন্দে ভরা। সংস্কারে পর এখন আর তেমন কোন খানাখন্দ নেই। তাই গাড়ি চলছে নির্বিঘ্নে। ঈদের তিনদিন আগে মালবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু চালকরা বলছেন, ঈদযাত্রায় যদি লোকাল বাসগুলো রুট বদলে মহাসড়কে নামে, তবে পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েতউল্লাহ বলছেন, নির্দেশান না মেনে লোকাল বাস যদি মহাসড়কে চললে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবার ঈদের আগেই তিন থেকে চারদিনের বাড়তি ছুটির কারণে সড়কে কোন ভোগান্তি হবে না বলে আশা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
একাত্তর/এআর