দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা, সারের দাবিতে কৃষকের ওপর গুলি ও তারবিহীন খাম্বার আমলে দেশকে আর ফিরতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শনিবার জাতীয় শোকদিবসের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন আর বিদেশিদের কাছে নালিশ দুটোই ফিউজ হয়ে গেছে।
শনিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ডিএমপি আয়োজিত আলোচনা সভার আয়োজন করে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামসহ আরও কয়েজন।
মুখ্য আলোচক হিসেবে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন করে এই হত্যায় কারা জড়িত ছিলো তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যায়নি রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাবে।
আর বিএনপি জামায়াত জোট সরকার আমলকে ইঙ্গিত করে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, দেশকে আর সিরিজ বোমা হামলা ও তারবিহীন খাম্বার আমলে ফিরতে দেয়া হবে না।
স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর নাম এদেশের ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছে সব সময়, এমন মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা যারা করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে পুলিশের সব সদস্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, একটি মহল দেশকে উলটো পথে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। যারাই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের যথাযথভাবে কঠোর হাতে দমন করা হবে। দেশে স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনের বেলুন আর বিদেশিদের কাছে নালিশ দুটোই ফিউজড হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি অনেক আন্দোলনের চেষ্টা করেছে, ঢাকায় মহাসমাবেশও করেছে। আন্দোলনের বেলুনও ফুলেছে, কিন্তু সেই বেলুন এখন ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে। বিদেশিদের কাছে অনেক ধর্ণা দিয়ে বাংলাদেশের ওপর একটি চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই চাপ তৈরির অপচেষ্টাও এখন ‘ডিফিউজড’ হয়ে গেছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, তিতুমীর, ক্ষুদিরাম বসু, সূর্যসেন-প্রীতিলতা, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র দসু, তারা বাঙালির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন, নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা।
মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনী যেভাবে দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষা ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এ জন্য তাদের আন্তরিক ধন্যাবাদ। পুলিশ বাহিনী অবশ্যই আইন অনুযায়ী চলবে। এবং বিধি অনুযায়ী চলতে গেলেই দেখা যাবে, কেউ রাজনীতির নামে মানুষ পোড়াতে পারে না।
একাত্তর/এসি