ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাবের (ইডব্লিউইউবিসি) ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফকেস ৩.০ (Briefcase 3.0) প্রতিযোগিতার প্রথম কর্মশালা মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রিফকেস ৩.০ হলো ইডব্লিউইউবিসি -এর সিগনেচার ইভেন্ট, যা দেশের অন্যতম সেরা বিজনেস কেস স্টাডি প্রতিযোগিতা হিসেবে পরিচিত। প্রতিযোগিতাটি শিক্ষার্থীদের বাস্তবজীবনের ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধানে দক্ষ করে তুলতে এবং তাদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. শামস রহমান এবং প্রোভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইডব্লিউইউবিসি -এর মডারেটররা, সহকারী অধ্যাপক সিলভিয়া আখতার, ড. মো. আতিকুর রহমান সরকার (অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর), এবং দেওয়ান মেহরাব আশরাফি (সিনিয়র লেকচারার)। তাদের সার্বিক নির্দেশনা এবং সহযোগিতা কর্মশালাকে সফল ও স্মরণীয় করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
কর্মশালাটি বিকেল ৫টায় শুরু হলেও অংশগ্রহণকারীদের বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছিলো এবং অনেকেই নির্ধারিত সময়ের আগেই উপস্থিত হন। আয়োজক দল সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে নিয়ে যায়, যেখানে প্রতিযোগীদের জন্য বিশেষ নোটপ্যাড এবং কলম উপহার হিসেবে রাখা হয়েছিলো।
কর্মশালার মূল আকর্ষণ ছিলেন ১০ মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আইমান সাদিক। তার উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচুর উত্তেজনা তৈরি করে। তিনি সেশনটি শুরু করেন একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাকে ব্যবসায়িক কেস স্টাডি প্রতিযোগিতা, কেস সমাধানের পদ্ধতি এবং এই ধরনের প্রতিযোগিতায় জয়ের কৌশল নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। আইমান সাদিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ এবং কেস সমাধানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করেন।
সেশন চলাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিরতি রাখা হয়, যেখানে স্পন্সরদের উদ্যোগে স্পিড এবং প্যারাগন নামে দুটি স্টল স্থাপন করা হয়েছিলো।
বিরতির পর আবার সেশন শুরু হয় এবং দিনশেষে কর্মশালাটি একটি গ্রুপ ফটোশুটের মাধ্যমে শেষ হয়।
ব্রিফকেস ৩.০ প্রতিযোগিতার এই প্রথম কর্মশালা শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তব জ্ঞান এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে। ইডব্লিউইউবিসি জানিয়েছে, পরবর্তী রাউন্ডগুলোতে প্রতিযোগীদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা আরও গভীরভাবে মূল্যায়ন করা হবে এবং প্রতিযোগিতাটি আরও চ্যালেঞ্জিং ও উত্তেজনাপূর্ণ হবে।