দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণমাধ্যমগুলো একটি ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’। সংক্ষেপে বিটিভি নামেই পরিচিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেলিভিশন চালু করা প্রথম দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তান আমলে।
সেই সময় পাকিস্তান টেলিভিশন কর্পোরেশন ঢাকায় একটি টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপন করেছিলো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর এটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) নামকরণ করা হয়। বিটিভির দীর্ঘ পথ চলায় প্রতি বছরের মতো আবার সামনে এসেছে এসেছে ২৫ ডিসেম্বর।
বিগত বছরগুলোর মতোই এবারও বিটিভির জন্মদিন উপলক্ষ্যে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বসবে তারকার মেলা। এবারের আয়োজনের চমক হিসেবে থাকছে একটি বিশেষ গ্রন্থ। গবেষণাধর্মী ‘তারিখ অভিধান’ নামের এই গ্রন্থটি লিখেছেন আহমেদ রেজাউর রহমান।
বহুমুখী প্রতিভার লেখক, সাংবাদিক ও নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের সঙ্গে বিটিভি সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বাংলাদেশ টেলিভিশন নিয়ে যে কয়েকজন মানুষ নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে আসছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বিটিভির এর আগে তিনি লিখেছেন গবেষণাধর্মী ‘১৯৭১ ঢাকা টেলিভিশন’ গ্রন্থটি।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার আহমেদ রেজাউর রহমান সামনে আনছেন বিটিভি নিয়ে তার আরেকটি গ্রন্থ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের নানা ধরনের অনুষ্ঠানের প্রচার সময় নিয়ে রচিত হয়েছে ‘তারিখ অভিধান’। তার তথ্যবহুল এই বইটিতে ১৯৭১-১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।
লেখক আহমেদ রেজাউর রহমানের জানান, বিটিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নাটক সম্প্রচারের দিন তারিখের ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক বইয়ের প্রথম খণ্ড এটি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খণ্ড প্রকাশেরও আশা রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বইটি খুবই প্রয়োজনীয় হবে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক মনিরুল হক।
এদিকে আনন্দ আয়োজনে থাকছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পী-কলাকুশলী, নির্মাতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গান-স্মৃতিচারণ আড্ডা।
বিটিভির জন্মদিনের চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে বরাবরের মতোই বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পী-কলাকুশলী, নির্মাতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দিনটি হয়ে উঠবে আলোকোজ্জ্বল। গান-স্মৃতিচারণা, আড্ডায় মেতে উঠবে সবাই, এমনটাই জানিয়েছে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি চ্যানেল এটিএন বাংলা চালু হয়। তখন থেকে বাংলাদেশে আস্তে আস্তে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে বাংলাদেশ টেলিভিশন বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র টেরিস্টেরিয়াল টেলিভিশনে সম্প্রচারক হিসেবে কাজ করে।