আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি উল্লেখ করে ভোট বর্জন ও প্রতিহত করতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আর এই মুহূর্ত থেকে সরকারকে খাজনা, কর ও বিভিন্ন সেবার বিল না দিয়ে অসহযোগিতা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার গোপন জায়গা থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হলো। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
‘দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে, দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান।’
রিজভী বলেন, যারা সরকারকে অসহযোগিতা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভবিষ্যতে তাদের বিষয়ে সুবিচার করা হবে।
ক্ষমতাসীনদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। দেশের বেশিরভাগ দল ভোটে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি।
তবে ভোটের তফসিল বয়কট করে সহিংস কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। প্রায় প্রতিদিন হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ডাকা হচ্ছে। আর এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে আগুন দেয়া হচ্ছে।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
‘বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন। লেনদেন এড়িয়ে চলুন।’
এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান তিনি।
বিএনপির কর্মসূচি
নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ করবে বিএনপি।
এছাড়া ২৪ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ।