আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল এবং সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে দাবি জানিয়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না, তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের অংশ। আমাদের সবকিছু হবে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র কাঠামোর বাইরে রেখে। আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শ এদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এনসিপির ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হলে আমার-আপনার জীবন দিয়ে তার খেসারত দিতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা এখনও কিছুই পাইনি। আপনারা এখনও আওয়ামী লীগের বিচার শুরু করতে পারেননি। অতি দ্রুত বিচার কাজ শুরু করুন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন।
এসময় ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাসনাত। জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যেই দেশে দুই হাজার মানুষের রক্তের দাগ শুকায়নি, সেই দেশে আওয়ামী লীগকে ফিরতে দেওয়া যাবে না। যে বাংলাদেশে শাপলা, পিলখানা, ভারতীয় আগ্রাসনের বিচার, আবরার হত্যাকাণ্ড, জুলাই অভ্যুত্থানের বিচার হয় নাই সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।
সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন তিনি বলেন, কোনো হত্যাকাণ্ডের জন্যই আওয়ামী লীগ দায় স্বীকার বা দুঃখ প্রকাশ করেনি। সেই আওয়ামী লীগের পক্ষে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দাঁড়ান, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ তার বিপক্ষে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য আমাদের ভাইয়েরা জীবন দেয়নি। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতেও আওয়ামী লীগকে আসতে দেবো না। মুজিববাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশে আর পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মাহিন সরকার, আতিক মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম আইনি, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অ্যাড. তারিকুল ইসলামপ্রমুখ বক্তব্য রাখেন।