আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ছাত্রজনতা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার চেয়েছেন তিনি। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে আন্দোলনকারীরা ছাত্রজনতা।
বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে; উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত আসার পরপরই শনিবার (১০ মে) দিনগত রাতে উল্লাসে ফেটে পড়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে জড়ো হওয়া ছাত্রজনতা।
টানা তিনদিনের আন্দোলন শেষে দাবি পূরণ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন কেউ কেউ।
পরে মধ্যরাতে শাহবাগে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত ইতিবাচক, তবে জুলাই ঘোষণাপত্রের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে।
এদিকে মগবাজারে এক শোকরানা সমাবেশ করে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মাধ্যমে জনগণের আংশিক দাবি পূরণ হয়েছে, বিচার নিশ্চিত হলে সম্পূর্ণ দাবি পূরণ হবে।
অন্যদিকে হেফাজত নেতা মামুনুল হক আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণার দাবি জানান।