গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ ও জাতীয় সনদ চায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দলটির দাবি, গণভোটের মাধ্যমে আইনিভাবে এর ভিত্তি হবে। পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
রোববার (১৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
জামায়াত দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সংস্কার চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের (ঐকমত্য কমিশন) সঙ্গে অনেক প্রস্তাবে একমত হয়েছি, কিছু নতুন প্রস্তাবও দিয়েছি। কমিশনের ১২০টির বেশি প্রস্তাবে আমরা একমত।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তাহের বলেন, প্রধান বিচারপতি এমন ব্যক্তি হতে হবে, যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ না থাকে।
বাংলাদেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করার প্রস্তাব জামায়াত প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে তাহের বলেন, জনপ্রশাসনের জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিলের প্রস্তাব দিয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক সময় নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে দাবি করে সংস্থািটর কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
এছাড়া ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদ আলাদা ব্যক্তির ওপর ন্যস্ত করার পক্ষে তারা। এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর বা দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী যে না হতে পারেন, সে প্রস্তাবও দিয়েছে জামায়াত।
সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই জামায়াতে ইসলামী জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় বলেও জানান তিনি।
এর আগে বৈঠকের শুরুতে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, জামায়াত সংস্কার ইস্যুকে ধর্মীয় দিক থেকে বিবেচনা করছে। দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর বিষয় আমরা মাথায় রেখে আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটছে। আমরা এসবের নিন্দা জানাই। সরকারের প্রতি আহবান থাকবে, তারা যেন দৃঢ় হাতে এর মোকাবিলা করে। জামায়াত সঙ্গে থাকবে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, সঠিক, অবাধ ও সন্ত্রাসমুক্ত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আমরা মনে করি, খুব বেশি সময় না নিয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানো উচিত। এবং দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচন দেয়া উচিত। তবে এখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের অবস্থা দেখছে না জামায়াত, যোগ করেন আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।