২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিলো পাকিস্তানের লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহর বিরুদ্ধে। অবশেষে তদন্তের পর ইসলামাবাদের শালিমার পুলিশ স্টেশনে ওই ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের তালিকা থেকে নির্দোষ হিসেবে ইয়াসিররের নাম বাদ দিয়েছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন ইয়াসিরের বন্ধু ফারহান। আর তাতে সহযোগিতা করেছেন ইয়াসির, এমনটাই অভিযোগ ছিল এই লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে।
ইসলামাবাদের শালিমার থানায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর খালার দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, ইয়াসির এবং ফারহানকে ধর্ষণের জন্য দায়ি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধি অনুযায়ী ২৯২-বি এবং ২৯২-সি (শিশু পর্নোগ্রাফি) এবং ৩৭৬ (শাস্তি) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
তদন্তের পর মামলায় অভিযুক্তরের তালিকা থেকে নির্দোষ হিসেবে ইয়াসিররের নাম বাদ দিয়েছে শালিমার পুলিশ।
এক প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, এফআইআরে ভুলবশত ইয়াসিরের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা
পুলিশ স্টেশনের জমা দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী স্বীকার করেছেন, ইয়াসির শাহর নাম এফআইআরে ভুল বর্ণনার কারণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ঐ ধর্ষণ মামলার সাথে ইয়াসিরের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে ইয়াসির বলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ। এখন সবকিছু থেকে মুক্তি পেলাম। এখন আমি আমার সব মনোযোগ খেলায় দিতে পারবো। এই মামলার কারণে আমার কাজে প্রভাব পড়েছিল।
একাত্তর/আরবিএস