বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ছক্কা মারতে পারে না, তাই টি-টোয়েন্টিটাও খেলতে পারে না। এমন ট্যাগ টাইগারদের গায়ে। তবে এবারের বিপিএলে যেনো উলটপুরান দেখলো সবাই। বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারিতে বিদেশিদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
সিক্স হিটিং টেবিলে সবার উপরে তানজিদ তামিম। পরের নামটাই তাওহীদ হৃদয়ের। তারা যেনো দেখিয়ে দিলো ছক্কা মারতে পেশী নয়, লাগে টেকনিক।
বিশ্বকাপের আগে বিপিএলই টিম টাইগার্সের ড্রেস রিহার্সেল। প্রায় শেষের পথে প্রথম পর্ব। নিশ্চয়ই এবারও পাওয়ার হিটিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এমন চিন্তা যাদের, তাদের জন্যই এই সিক্স হিটিং টেবিল। এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ছক্কা মারার লিস্টে সবার উপরে জুনিয়র তামিম। এগারো ম্যাচেই ২০ ছক্কা তার। সমান ম্যাচে সমান ছক্কা হাকিয়েছেন তারই সহযোদ্ধা তাওহীদ হৃদয়। টপ টেনের সাতজনই বাংলাদেশি।
কি এমন ম্যাজিক হলো এবার, হঠাৎ করে কেমন করে পাওয়ার হিটিং শিখে ফেললো টিম টাইগার্স। হঠাৎ করেই কী ‘মাচো ম্যান’ হয়ে গেলো বাংলাদেশি ব্যাটাররা। প্রশ্নটা নতুন হলেও উত্তরটা পুরোনো, ছক্কা মারতে শুধু মাসল পাওয়ারই জরুরি নয়।
তাওহীদ হৃদয় যেদিন টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন, ১০৮ রানের ইনিংসটাকে সাজালেন ৭ ছয় আর আট চারে। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মাসলে হাত দিয়ে বললেন থিন বাট স্ট্রং, দিস ইজ গোল্ড।
পাওয়ার হিটিংয়ের মূল মন্ত্রটাই আসলে এইটা। পেশিশক্তি কম থাকলে ঠিকঠাক ফুটওয়ার্কের সঙ্গে মেলাতে হয় টাইমিঙটা, ব্যস তাতেই বোলার হয়ে পড়ে নিরুপায়।
কেবল টাইমিং আর ফুটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করেইতো পাইকারি হারে ছক্কা হাকান রোহিত শর্মা, বাবর আজম, কেন উইলিয়ামসন, জস বাটলার আর এবি ডি ভিলিয়ার্সরা।
এবারের বিপিএলে যেমন ঝলক দেখাচ্ছেন জুনিয়র তামিম, হৃদয়রা।
প্র্যাকটিস প্র্যাকটিস প্র্যাকটিস... এই পারফর্ম্যান্স জারি রাখতে টাইগার ব্যাটারদের প্র্যাকটিস ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সাথে চাই মানসম্মত উইকেট, ব্যাটারদের ইস্পাত কঠিন মনোবল। হয়তো আসছে বিশ্বকাপেই এই ইয়াংস্টাররা নিজেদের প্রমাণ করবে বিশ্বের বুকে। জানান দিয়ে বলবে, টি-টোয়েন্টিটা শুধু আপনাদেরই নয় আমাদেরও খেলা, বুঝলেন?