বয়স, সমালোচনা তামিম ইকবাল কোন কিছুকেই যেন পরোয়া করেন না। আবারও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন মিস্টার খান। প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন, এক হাতে বরিশালকে নিলেন প্লে-অফে। ৪৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে তামিম শুধু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকেই হারাননি, জায়গা করে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের টপ স্কোরারের শীর্ষে।
মাঠ জুড়ে কারুকার্য, দুই সপ্তাহের বিরতিতে মিরপুরে হবে রানের স্বর্গ। কিন্তু কীসের কি? ডিজাইনের আড়ালে শুধুই বোলিং ভেলকি। মিরপুরের মাঠে রান সে তো আকাশ কুসুম কল্পনা, শত চেষ্টা করেও গামিনি ঢাকতে পারেন নি নিজের ব্যর্থতা।
স্লো উইকেটে টস জিতে শুক্রবার তাই ফিল্ডিং বেছে নেন তামিম ইকবাল, কুমিল্লাকে হারাতে পারলেই প্লে-অফে চলে যাবে ফরচুন বরিশাল। শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বরিশালের হাতে, সুনিল নারিন আউট মাত্র ১৬ রানে।
এদিন আর কারিশমা দেখাতে পারেন নি লিটন দাস, ১২ বলে খেলেন ১২ রানের ইনিংস, তাইজুলের বলে কুমিল্লা ব্যাটার ডিসমিস। মন্থর উইকেটে তাওহীদ হৃদয় ছিলেন ভিক্টোরিয়ানদের ভরসা। ২৫ রানে ম্যাককয় তাকে দেখান ফেরার রাস্তা।
গেল দুই ম্যাচের মতো এদিনও মঈন আলীর আপসেট। ২৩ রানে ওকে আউট করেন আকিফ জাভেদ। আন্দ্রে রাসেলও ছিলেন ফ্লপ, ওর ব্যাটে আসে মোটে ১৪ রান, তাইজুলের বলে আউট হন ক্যারিবিয়ান।
শেষদিকে জাকির আলীর ব্যাট যেন খোলা তলোয়ার। ১৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন কুমিল্লা কিপার। ওর ব্যাটে ভর করেই কুমিল্লা চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় নির্ধারিত ওভারে, বোর্ডে ১৪০ রান তোলে ৮ উইকেটে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আহমেদ শেহজাদ ধরেন উল্টো পথ, মাত্র ১ রানে ওকে ফেরান এনামুল হক। দ্বিতীয় উইকেটে তামিমকে সঙ্গ দেন কাইল মায়ার্স, ১ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় করেন ২৫ রান।
বরিশালের হয়ে এক প্রান্ত এদিন আগলে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল, ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় কুমিল্লাকে করেন নাজেহাল।