উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লে কাটানো স্বপ্নেও হয়তো দেখে না টিম বাংলাদেশ। প্রতি ম্যাচেই শুরুর ছয় ওভারেই হারাচ্ছে একাধিক উইকেট। বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন কুমার দাসের ফর্ম আর আউটের ধরণ মহা দুশ্চিন্তায় ফেলছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই দু’জনকে একাদশের বাইরে রাখার সুযোগ আছে কি?
শান্ত যে ক্যাপ্টেন কোটায় খেলছেন, সে কারণে সাত খুন মাফ? ব্যাটিংটা ঠিকঠাক না পারলেও, ভবিষ্যতে ভালো ফিল্ডিং কোচ হতে পারবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কি দারুণ ত্বরীকায় স্লিপ ক্যাচিং প্র্যাকটিস করালেন। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে, নিজের তৃতীয় বলেই ওমন শটে আউট, মানা যায়?
ক্যাপ্টেনকে হতে হয় দলের সেরা পারফর্মার। অথচ, ভিন্ন পথেই বাংলাদেশ অধিনায়ক। একের পর এক বাজে ইনিংস, শান্তর নিজের পায়ের নিচের মাটিই হয়ে গেছে নরম, সেক্ষেত্রে টিম মিটিংয়ে কথা বলার কিংবা অন্যদেরকে সেরাটা দেয়ার বার্তা কি দিতে পারেন নাজমুল শান্ত?
নেদারল্যান্ডস, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা গ্রুপের তিন ম্যাচেই তার স্ট্রাইকরেট অবাক করা, কোনো ম্যাচে দ্রুত আউট হচ্ছেন, আবার কোনোদিন ক্রিজে টিকে গেলেও বল খাচ্ছেন। এমন ইন্টেন্ট আর স্ট্রাইকরেটের কারণে এই ফরম্যাটের স্কোয়াডেই তো জায়গা পাওয়ার কথা না। অথচ সেই তিনিই লিড করছেন বাংলাদেশ দলটা।
শুধু বিশ্বকাপ না, সবশেষ দশ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই নেই ফিফটি, দেশে কি বিদেশে প্রতি ইনিংসেই নড়বড়ে ছিলো তার উইলোবাজি। এমনকি গেলো বিপিএলেও কোনো ফিফটি আর কোনো ছয় ছিলো বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটে।
ওয়ানডাউন, টু ডাউন ঘুরে, ওপেনিংয়ে এসেও ফ্লপ নাজমুল শান্ত। একই দশা লিটন কুমার দাসেরও। ওপেনিং পজিশন হারিয়েছেন, নতুন জায়গাতেও বড্ড অধারাবাহিক।
গেলো ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তেরো বলে নয়, বৃহস্পতিবার সেইন্ট ভিনসেন্টে দুই বলেই থেমেছে লিটনের ইনিংস। চোখ কপালে ওঠা তথ্য হলো, ২৯ মার্চ দুই হাজার তেইশে সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন।
আত্মবিশ্বাসহীন, একের পর এক সুযোগ পেয়েও কালেভদ্রেই দলের জয়ে অবদান রাখতে পারছেন। তবুও লিটন শান্তরাই দলের অন্যতম সেরা তারকা, দেশে বিদেশে প্রতি সফরেই খেলছেন, আর সমালোচনায় পড়ছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে টাইগারদের পাইপলাইন নিয়ে।