শুরুতেই পিছিয়ে পড়া, ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া…কোনো কিছুই যেন বাধা হতে পারে না বার্সেলোনার সামনে। রিয়ালকে পেয়েই বার্সেলোনা জ্বলে উঠে তেলে-বেগুনে। স্প্যানিশ সুপার কাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালে রিয়ালকে বার্সা হারালো ৫-২ গোলে।
রেয়ালের চোখে মুখে প্রতিশোধের নেশা। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই এমবাপে পেলেন গোলের দেখা। ১৩ বছর আগে বার্সার নব্বই হাজার সমর্থককে যেভাবে সাইলেন্ট করে দিয়ে রোনালদো মেতেছিলেন কালমা সেলিব্রেশনে, সেই দৃশ্য রিক্রেট করে এমবাপেও ফিরিয়ে আনলেন আইকনিক সেলিব্রেশনটা।
ডোন্ট সেলিব্রেট ঠু আর্লি…৯০ মিনিটের খেলায় প্রতি মুহর্তেই থাকে রোমাঞ্চ। ভুলেই গেলো লস ব্লাঙ্কোস। মনে করিয়ে দেয়ার কাজটা করলেন লামিন ইয়ামাল। ফাইনালের আগেই বলেছিলেন, ট্রফি ছাড়া উপায় নাই। ২২ মিনিটে গোল করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। রেয়ালের দুর্ভাগ্যের শুরুটা এরপরই। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচে ফেরার বদলে একের পর এক ভুল করে বসে ভিনিসিয়ুসরা। সেই সুযোগে প্রথমার্ধেই চার গোল করে বসে কাতালানরা। ইয়ামাল,লেভার পর রাফিনিয়া আর বালদের গোলে ৪-১ গোলে বিরতিতে বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আবারো স্কোরশিটে নাম তোলেন রাফিনিয়া। দিশেহারা রেয়াল মাদ্রিদের ধরে প্রাণ ফেরে বার্সা গোলরক্ষকের ভুলে। সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সেজনি। ভাবলো সবাই এই বুঝি শুরু হলো রেয়ালের কামব্যাক মহড়া। রদ্রিগোর গোলে আশার সঞ্চার লস ব্লাঙাকো শিবিরে।
তবে রেয়াল ম্যাজিক ওখানেই শেষ। শেষের প্রায় ৪০ মিনিট বার্সা খেলল ১০ জন নিয়ে। সেই সুযোগটা নিতে পারল না রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে হলো না আর কোনো অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। বাকী সময়টা বার্সা ভালোভাবেই সামলে রাখলো নিজেদের রক্ষণ।
নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুটি ক্লাসিকোয় অন্তত ৪ গোল করে করল সাথে ম্যাচটাও জিতলো বার্সেলোনা। এদিকে, ১৯৬৩ সালে এল ক্লাসিকোর রেয়াল হজম করলো এত গোল। এই মৌসুমে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ফাইনালেই শিরোপার স্বাদ পেলেন জার্মান কোচ ফ্লিক। সবমিলিয়ে বার্সার ঘরে সুপার কাপের শিরোপা সংখ্যা ১৫টা।