দলের ভেতর দুর্বলতা যাই থাকুক, বাংলাদেশ আর মালদ্বীপকে এক কাতারে দেখছে ভারত। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হামজাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রেসার ট্যাকটিক্স অ্যাপ্লাই করলেন ইন্ডিয়ান ডিফেন্ডার রাহুল ভেকি। জানিয়েছেন শিলংয়ে আইএসএল আর আই লিগ খেলার অভিজ্ঞতা এগিয়ে রাখবে তাদের।
একটা কর্ণার কিক, হেডে গোল, মালয়েশিয়ার কাছে হারতে বসা ম্যাচ কোন রকমে বাঁচালেন ডিফেন্ডার রাহুল ভেকি। ওই হেডে ড্রয়ের চেয়েও ভারতের বড় প্রাপ্তি ছিলো গোল করতে পারা। গোটা একটা বছর জয়শূন্য, একের পর এক হারে ফুটবলটাই যে ভুলতে বসেছিলেন দেশটির ফ্যানরা।
এবার বছর পাল্টালেও ভারতের স্কোরিং দুর্বলতা আগের জায়গাতেই আছে। ২৫ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে ১৯ তারিখ মালদ্বীপের সাথে ফিফা ফ্রেন্ডলির মাধ্যমে প্রস্তুতি সারবে ভারত। তবে ইন্ডিয়ান ডিফেন্ডার রাহুল ভেকি বাংলাদেশ আর মালদ্বীপকে যেভাবে তুলনা করলেন তাতে হামজাদের কতটা গুরুত্ব দিলেন আর কতটা হালকা করে দেখলেন তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
রাহুল ভেকি বলেন, ক্যাম্পটা ভালোই চলছে। দুইটা সলিড ট্রেনিং সেশন হয়েছে। আমি মনে করি মালদ্বীপ আমাদের জন্য ভালো একটা পরীক্ষা হবে, কেননা তারা আর বাংলাদেশ অনেকটা কাছাকাছি মানের দল।
ফিফা র্যাংকিংয়ে মালদ্বীপ ১৬২ আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৫ তে। সে হিসেবে রাহুলের তুলনা ভুল না হলেও বাংলাদেশের ফ্যানরা বরাবরই মালদ্বীপের চেয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখেন।
তবে খেলাটা শিলংয়ে দেখে ভারতও স্বস্তিতে নেই। ভারত-মালদ্বীপ ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে রাহুলের ভরসা এখানে ডমিস্টিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা।
ভেকি বলেন, আমি আই-লিগে এখানে খেলেছি, শেষবার ব্যাঙ্গালুরু এফসির হয়ে আইএসএল খেলত এসেছিলাম। তখন আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিল, কিন্তু এখন চমৎকার। আশা করছি আইএসএলে স্টেডিয়াম যেমন পরিপূর্ণ ছিল, বাংলাদেশের বিপক্ষেও তেমনটাই পাওয়া যাবে।
পজিশন ওয়াইজ রাহুল ভিকি ডিফেন্ডার হলেও সেট পিসে সে ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে যে দুটা গোল পেয়েছেন দুটাই কর্ণার থেকে হেডে। রাহুলের কাছে গোটা বিষয়টা দলীয়। যেখানে বল নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা থেকে সফলভাবে এক্সিকিউট করা-সব জায়গায় গোটা টিমের ইনভলভমেন্ট তিনি দেখেন।
যদিও এই টম গেমে সুনীল ছেত্রীর প্রত্যাবর্তনটাই নাকি ছিল ইন্ডিভিজ্যুয়াল চমক জানিয়েছেন রাহুল ভেকি।
তিনি বলেন, আমি আগে থেকে জানতাম না সে জাতীয় দলে কামব্যাক করছে। যেদিন ঘোষণা দিল সেদিন ব্যাঙ্গালুরুর ট্রেনিংয়ে আমাদের জানায়। আমি মনে করি এটা দারুণ সিদ্ধান্ত কেননা এই মুহুর্তে সে লিগের টপ গোলস্কোরার। আমরা সবাই জানি নেতৃত্ব গুণে সে মাঠের বাইরে আর ভেতরে কি ডেলিভার করতে পারে।
ভেকি-সুনীলদের বিপক্ষে বহুপ্রতীক্ষিত জয়ের খোজে ২০ মার্চ দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ফুটবল দল। যেখানে হামজার অন্তর্ভুতি লাল সবুজের চেহারাই পালটে দিয়েছে।