বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ। আর তার জন্য অবসর ভাঙিয়ে ফেরানো হয়েছে সুনীল ছেত্রিকে। এই ঘটনায় রীতিমত রেগে আগুন ভারতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। জানিয়েছেন, তরুণদের সুযোগ না দিয়ে এবং তাদের ওপর ভরসা না করে দেশের ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। কিন্তু দিশাহারা ভারতীয় কোচ মানোলো মারকুয়ের দলে নেই ইম্প্যাক্টফুল স্ট্রাইকার, হামজা চৌধুরীরর মোকাবেলা করবে এমন সাহস কার?
হাজার বুঝিয়ে সুনীল ছেত্রীকে অবসর থেকে ফেরানো গেছে ঠিকই, কিন্তু তার বয়সটাও যে চল্লিশ পেরিয়ে গেছে, সেদিকে নজর নেই কোচ ও ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। নামে ভারে কি মাঠের ফুটবল চলে?
এবার সুনীল ইস্যুতে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন দেশটির কিংবদন্তী ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। ভারতের সাবেক অধিনায়ক যার ক্যাপ্টেন্সিতে সুনীলও খেলেছেন সেই বাইচুং দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কোচ মানোলোর ওপর চাপ কতটা কোচ মানোলোর ওপর চাপ সহজেই অনুমান করা যায়। দায়িত্ব নেবার পর যে চার ম্যাচ খেলেছেন তার একটাতেও জয় পাননি। তাই বলে ছেত্রীকে অবসর থেকে ফেরানো এটা দীর্ঘমেয়াদে ইন্ডিয়ান ফুটবলের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য ভালো নয়।
গেল বছর জুনে সুনীল ছেত্রীর অবসরের পর ভারতীয় ফুটবলের ফাপা অবস্থা প্রকাশ্যে চলে আসে। পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন গোল আর জিরো উইন। মানভীর সিং, লালিয়ানজুয়ালা চাংতে, ইরফান ওয়াদউয়াদ, রাহিম আলী কেউই কোচ মানোলো মারুকুয়েজের বিশ্বাস জিততে পারেননি।
তারপরেও বাইচুং ভুটিয়ার মত কোচ গ্রুপ পর্বে জুনিয়রদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন, এভাবে ছেত্রীকে ডেকে নিজেদের দেউলিয়াত্ব না দেখালেও চলতো।
তিনি বলেন, আমরা খুব কঠিন কোন গ্রুপে নেই। মনে করি সে তরূণ প্লেয়ারদের ওপর বাজি ধরে সহজেই পরের পর্বে কোয়ালিফাই করতে পারতো। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও হতাশার যে আমরা সুনীলের বিকল্প বের করতে পারিনি। কিন্তু তার মানে এই না যে আপনি সুনীলের ওপর ভরসা করতেই থাকবেন।
দুই ম্যাচ, অর্থাৎ মালদীপের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি আর বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের জন্য জাতীয় দলে কামব্যাক করেছেন সুনীল। তার প্রত্যাবর্তনে হিতে বিপরীতও দেখছেন বাইচুং ভুটিয়া।
তিনি বলেন, আপনি যদি কোয়ালিফাই করেন তাহলে সুনীলকে ছাড়াই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। হুট করেই দেখবেন অপরিপক্ব ও অপরীক্ষিত স্ট্রাইকার নিয়ে আপনাকে সাউথ কোরিয়া, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়ান্ট দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। আমি মনে করি এটা আনফেয়ার।
শুধু বাইচুং ভুটিয়াই নন, ভারতে স্ট্রাইকারের হাহাকার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন দেশটির সাবেক ফুটবলার রিনো অ্যান্টো, কোচ প্রদ্যুম রেড্ডিসহ অনেকেই। তাদের মতে ই লিগ ও আইএসএলে বিদেশী স্ট্রাইকার খেলানোয় দেশীয় স্ট্রাইকার তৈরি হচ্ছে না। এজন্য ফরেন কোটায় পরিবর্তন আনা জরুরি।