ঈদের বাকি এখনও এক সপ্তাহের বেশি। কিন্তু, এইরমধ্যে ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। স্টেশনগুলোতে উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও অনেকে স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সড়ক-নৌ ও রেলের আগাম টিকেট বিক্রি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার লম্বা ছুটি থাকায় একসাথে যাত্রী চাপ কম হবে তবে পোশাক কারখানা ছুটির ওপর নির্ভর করবে পরিস্থিতি।
দুয়ারে এখনও কড়া নাড়েনি ঈদের পূর্ব সময়। অন্তত আট থেকে নয়দিন পর ঈদুল ফিতর। তবুও, পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের পথে নগরবাসী।
বিশেষ করে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় বাড়ি পথ ধরেছেন কেউ কেউ। একটু আগেভাগে গ্রামে যেতে পারায় বেশি খুশি শিশুরা।
এদিকে চাকরিজীবীদের অনেকেই ঈদের শেষমুহূর্তে যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতে স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
রেলের আগাম টিকেট বিক্রি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার, সোমবার থেকে শুরু হবে সেই টিকেটের যাত্রা।
সড়ক পথের চিত্রটাও রেলপথের মত। বাড়তি কোনো চাপ নেই সায়েদাবাদ টার্মিনালে। চার বিভাগের কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে এই পথে।
চালক শ্রমিকরা বলছেন, যাত্রী চাপ হবে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ এই তিনদিন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। এরপর শুক্র-শনি, তারপর ঈদের ছুটি। সব মিলিয়ে ১১ দিনের লম্বা ছুটি হতে যাচ্ছে এবারের ঈদে। তবে পোশাক কারখানা ছুটির ওপর নির্ভর করবে ঈদ যাত্রা ভোগান্তি না-কি স্বস্তির হবে।