রংপুরের পীরগঞ্জ মাঝি পাড়ার সাম্প্রদায়িক হামলা খুবই পরিকল্পিত। এলাকা ঘুরে দেখার পর এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। আটকের পর ধর্ম অবমাননায় অভিযুক্ত কিশোর পরিতোষকে নেয়া হয়েছে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া হামলার দায়ে আটক ৪১ জনকে পাঠানো হয়েছে জেল হাজতে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে রংপুর আদালতে আনা হয় রোববার রাতে পীরগঞ্জ মাঝি পাড়া এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলায় দায়ে আটক ৪১ জনকে। পরে তাদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেল ৪টার দিকে আদালতে আনা হয় পরিতোষকে। পরে তাঁকে নেয়া হয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে।
এর আগে সকালে পরিতোষের বোন একাত্তরকে জানান, তারা এখনো নিশ্চিত নন কীভাবে তার ভাইয়ের নাম এমন একটি অপরাধের সঙ্গে জড়ালো।
এদিকে, রোববার রাতের হামলার পর মন্দিরে আশ্রিত লোকজন গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: 'সাম্প্রদায়িক আক্রমণ দেশের জন্য অশনি সংকেত'
তাদের বেশিরভাগই এখন বাস করছেন তাঁবুতে। এরই মধ্যে অনেকেই ভাঙা ঘরবাড়ি মেরামত শুরু করেছেন।
এর আগে সকালে মাঝিপাড়া এলাকায় যান সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু। লণ্ডভণ্ড গ্রাম ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ না করলে মৌলবাদ থেকে মুক্তি নেই।
দুপুরের আগে ওই এলাকায় যান স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। নির্যাতিত মানুষের কথা শোনেন। সাংবাদিকদের জানান, মুহূর্তের পরিকল্পনায় এলাকার বাইরে থেকে লোকজন এসে এই হামলা করে। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণে অর্থ সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
গত রোববার (১৭ অক্টোবর) ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার জেরে পীরগঞ্জ মাঝি পাড়াসহ আশেপাশের তিন গ্রামের ২০টি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভাংচুর করে লুটপাট করা হয় আরো ৩৫টি বাড়িতে।
একাত্তর/এসজে