পাঁচদিনেও জমা পড়েনি কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক হামলায় তদন্ত প্রতিবেদন। অথচ, নির্দেশ ছিলো তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার। এরিমধ্যে আরো দুই দিন সময় নিয়েছে তদন্ত কমিটি।
এই ঘটনার আটটি মামলায় জামায়াত নেতা ও সিটি কাউন্সিলারসহ নামে-বেনামে হাজারখানেক লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আটক হয়েছে ৪৩ জন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রতিবাদে এখনো থমথমে কুমিল্লায় মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল চলছে প্রতিদিনই। সবার দাবি ঘটনার মূল হোতাকে খুঁজে বের করার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করেন, ঘটনার পেছনে এলাকারই প্রভাবশালীদের ইন্ধন আছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, এই ঘটনায় কেউ ছাড় পাবে না। তিনটি কমিটি ঘটনার তদন্ত করছে, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা হবে।
তিনি জানান, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে দুটি বিষয়কে সামনে রেখে তাদের তদন্ত চলছে। প্রথমত, দেশের একাধিক ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। দ্বিতীয়ত, তৃতীয় কোনো শক্তি। এছাড়া বিদেশি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'সাম্প্রদায়িক আক্রমণ দেশের জন্য অশনি সংকেত'
পাশাপাশি সব গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে আছে। হামলার আশপাশে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিমা ভাঙচুরে যারা অংশ নিয়েছে, ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকটি সংগঠন ছুটে গেছেন ঘটনাস্থলে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, জাতীয় ঐক্য সংহতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ডা. জাফর উল্লাহ, পূজা উদযাপন পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
গত ১৩ অক্টোবর নগরের নানুয়াদিঘীর পাড়ে অস্থায়ী পূজামণ্ডপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর আর অপ্রীতিকর ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে আটটি। মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে ৯২ জনের নাম।
একাত্তর/এসজে