বরিশালে পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষার সকল ধাপ সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ভূমি জটিলতায় আসপিয়া ইসলামের চাকরি না হলে অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
নিজের ফেসবুকে করা একটি প্রতিবাদী পোস্টে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি।
পোস্টে কবি লেখেন, ভূমিহীন হলে পুলিশের চাকরি করা যাবে না—এ রকম একটা আইন আছে, সেটাই তো জানতাম না। মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়েও ভূমিহীন বলে বরিশালের আসপিয়া চাকরি পাবে না, এটা হতে পারে না। হতে দেওয়া যায় না। এই আইন বাতিল কিংবা সংশোধন করে তাকে চাকরি দেওয়া হোক। নইলে আমি অনশনে বসবো।
আসপিয়ার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই এ প্রক্রিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের অনশনে বসার ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে তার সঙ্গে অনশনে বসার আগ্রহও দেখিয়েছেন অনেকে।
এর আগে, বরিশালে পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হন আসপিয়া। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানার জায়গায় ৩৫ বছর ধরে বসবাস করা স্থানের নাম দিলেও নিজেদের ভূমি না থাকায় পুলিশি যাচাইয়ে তা আটকে যায়। এরপর সমস্যার সমাধান করতে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজির সঙ্গে দেখা করেও কোনো কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: ভূমিহীন হওয়ায় পুলিশের চাকরি হচ্ছে না আসপিয়ার
বরিশালের হিজলার খুন্না-গোবিন্দপুরের মেয়ে আসপিয়া। গত ১৪ থেকে ১৬ই নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশ করে ১৭ই নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় বসেন তিনি। ২৩শে নভেম্বর লিখিত ও ২৪শে নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণও হন। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে আসপিয়ার কোন স্থায়ী ঠিকানা না পাওয়ায় তার চাকরি হবে না বলে জানিয়ে দেয় প্রশাসন।
গত ৩৫ বছর ধরে বরিশালে হিজলায় উপজেলায় বসবাস করছে আসপিয়ার পরিবার। তার পরিবারের চার সদস্যও ওই এলাকারই ভোটার। তার বাবা শফিকুল ইসলাম ২০১৯ সালে মারা যান। তিনিও ওই এলাকার ভোটার ছিলেন। বড় ভাই ঢাকায় গার্মেন্টসে এবং মেজ বোন একটি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চির কাজ করেন। আর সেজ আসপিয়া হিজলা ডিগ্রি কলেজে বিএতে পড়াশোনা করছেন। ছোট বোন প্রাইমারি স্কুলে পড়ছে।
একাত্তর/টিএ