ভাঙাগড়ার একটি উপজেলা চৌহালী। যে উপজেলায় বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের সুখ গুলো ভেসে যায় যমুনার ভাঙ্গনে। যমুনার রাক্ষুসে থাবায় বিলীন হয় উপজেলার শত শত গ্রাম। তবুও মানুষ ছুটে চলে একটু সুখের আশায়। মন চায় প্রিয় মানুষগুলোর সাথে একটু সময় কাটাতে, হৈ হুল্লোড় আর আনন্দে মেতে উঠতে।
এই শীতে বাৎসরিক পার্বণের অংশ হিসেবে ছিলো দিন-রাত ব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন। উৎসবে উপস্থিত ছিলো বিচিত্রভূমি পরিবারের সকল সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
আয়োজন ঘিরে ছিলো- ফানুস ওড়ানো, ফটোশেসন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, চায়ের আড্ডা, গানের আড্ডা, ক্যাম্প ফায়ারিং সহ আরও অনেক কিছু। আর ছিলো যমুনার ভাঙ্গন রোধে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণে কি কি উদ্যোগ নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা।
অনুষ্ঠানের দিন বিকেলবেলা সকলে একত্রিত হয়ে নৌকাযোগে যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে চলে যায় যমুনার চরে, অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয় তাবু টাঙিয়ে থাকার জায়গা। সেখানে গিয়েই যমুনার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ সহ স্মৃতি ধরে রাখতে ক্যামেরা বন্দি করা হয় অসাধারণ সব দৃশ্য।
সন্ধ্যার আগেই যমুনার চর ভ্রমণ শেষে সবাই চলে আসে অস্থায়ী ক্যাম্পে। ক্যাম্পে এসে চলে চা-চক্র আর গানের আড্ডা। গানে গানে মেতে ওঠে ছোট বড় সবাই। এরপর এক পাশে চলে ফানুস ওড়ানো আর একদিকে চলে রান্নার কাজ।
পেট পূজো শেষে চলে ক্যাম্প ফায়ারিং। ঠিক রাত ১২:০১ মিনিটে ভাষা শহিদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এভাবে সারারাত যমুনার চরে কাটিয়ে ভোরে সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে কুয়াশার দুনিয়া থেকে মুক্ত হয় সবাই।
একাত্তর/এআর