চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ডোম না থাকায় মৃত্যু পরবর্তী লাশকাটা ও ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে জোড়াতালি দিয়ে।
ডোম পদ না থাকায় মর্গে জমছে ময়নাতদন্তের জন্য আসা লাশের সারি। দীর্ঘ সময় মর্গে অপেক্ষা করেও মৃতদেহ নিয় স্বজনদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
ডোম পদ সৃষ্টির জন্য মন্ত্রাণালয়ে আবেদন করা হলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গের বয়স দুই যুগেরও বেশি। কিন্তু এখনো এখানে লাশ কাটার জন্য নেই কোন ডোমের পদ।
আরও পড়ুন: চাল নিয়ে চালবাজির নেপথ্যে তথ্যের গড়মিল
লাশকাটা ও ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে এনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। ডোম না থাকায় সম্প্রতি মর্গে লাশের স্তুপ জমে পঁচে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
গত রোববার ও সোমবার লাশ কাটার কাজ বন্ধ করে দেয় মর্গে অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকা কদম আলী। কদম আলী কাজে হাজির না হলেই লাশের স্তূপ জমে থাকে সেখানে।
তিনি আবার কাজ করেন মূলত খণ্ডকালীন। আরও দুজন নিয়মিত কর্মী থাকলেও তারা কাজ করেন ফরেনসিকে। কিন্তু কাটাছেঁড়ার সব কাজই করেন কদমই।
কদম আলী জানান, হাসপাতাল থেকে নাম মাত্র টাকা পান তিনি। এতে তার সংসার চলছে না। এ পদে স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি তার।
তিনি বলেন, ‘আমি একযুগেরও বেশি সময় ধরে মর্গে কাজ করছি। এই কাজের জন্য আমাকে দেয়া হয় তিন হাজার টাকা। এত কম টাকায় চলতে পারি না বলে লাশের স্বজনদের কাছ থেকে বকশিস খুঁজি। এটাও অপরাধ হয়ে যায় আমার। তাই এ কাজ করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার জানান, প্রথম থেকে কলেজে ফরেনসিক বিভাগ থাকলেও মর্গের কাজ চলত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। পরে মর্গ চট্টগ্রাম মেডিক্যালে কলেজে স্থানান্তরিত হলেও তৈরি হয়নি কোন ডোমের পদ।
তবে হাসপাতালের মর্গের ডোম পদ সৃষ্টির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলেও, বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি বলেও জানান চমেক অধ্যক্ষ। চট্টগ্রাম মেডিক্যা কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রতিদিন গড়ে ৮-১০টি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসে।
একাত্তর/এআর