পিরোজপুর একটি ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনার অভিযোগ দুই দফা জরিমানার পরও দেদারে পোড়ানো হচ্ছে ইট।
অভিযোগ, জেলার কাউখালী উপজেলার জোলাগাতি গ্রামের জনৈক জসিম খান দুই দফা জরিমানার পরও অবৈধভাবে এ ভাটা চালিয়ে আসছেন।
রোববার (২০ মার্চ) সকালে সরেজমিন উপজেলার জোলাগাতি গ্রামে কচা নদীর কাছে ফসলি জমিতে ভাটায় ইট তৈরি করতে দেখা গেছে। ভাটা মালিক নদীর চর ও সাউথের খালের তীর থেকে মাটি কেটে ইট তৈরি করছেন। ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে সনাতন পদ্ধতির ড্রাম চিমনি। কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইট ভাটাটি দূরবর্তী এলাকায় হওয়ায় প্রশাসনের লোকজন সেখানে যান না। তারা জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন হক ভাটায় অভিযান চালান। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ড্রাম চিমনি ভেঙে দেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতীত ভাটা করায় ইট ভাটার মালিক জসিম খানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু এর কয়েক দিন পর তিনি পুনরায় সেখানে কাঠ দিয়ে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ইট পোড়ানো শুরু করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন।
পরে ১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ভাটা মালিকের লাইসেন্স না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ভাটাটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও সেখানে পোড়ানো হচ্ছে ইট।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ইট ভাটার মালিক জসিম খানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরননি এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর দেননি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আল ইমরান খান বলেন, ইটভাটাটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় সেখানে অভিযান চালাতে অনেক সময় লেগে যায়। আমরা একবার সেখানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছি। এবার ভাটাটি ভেকু দিয়ে ভেঙে দেবো।
আরও পড়ুন: কমলো সব ধরনের সয়াবিন তেলের দাম
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, একবার জরিমানা করে ড্রাম চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে আবার ড্রাম চিমনি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটাটি বন্ধ করার জন্য মালিককে নোটিশ পাঠানো হবে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. খালেদা খাতুন বলেন, অবৈধ ইট ভাটাটি ধ্বংস করা হবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
একাত্তর/এসি