মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠের ভেতর একজন শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল নৌপথে রাঙামাটি জেলা সদরের প্রায় ৩০ কিলো দূরে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় যুদ্ধে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ। তখন এই শ্রেষ্ঠ বীরকে তাৎক্ষণিক সম্মান প্রদর্শন করে সমাহিত করেছিলেন দয়াল কৃষ্ণ চাকমা কৃষ্ণ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা।
যুদ্ধের ভেতর সহমর্মিতার স্বীকৃতি স্বরূপ মহান স্বাধীনতা দিবসে দয়াল কৃষ্ণ চাকমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক দেয় নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও আলোচনা সভার পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ও ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে সমাহিত করায় দয়াল চাকমাকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
দয়াল কৃষ্ণ চাকমা জানান, এই পবিত্রতম কাজটি করতে পেরে নিজেকে মহাভাগ্যবান মনে করেন। তিনি বলেন, একাত্তর সালের ২০ এপ্রিলের ওই যুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। সেইদিন পাহাড়ি জঙ্গলের একটি গাছে ওঠে যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। শহীদ হওয়ার একদিন পর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের পবিত্র মরদেহ খুঁজে এনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাহিত করেন তিনি।
জানা যায়, একই জাতি-গোত্র কিংবা রক্তের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও দিনের পর দিন শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন দয়াল কৃষ্ণ চাকমা।
একাত্তর/এসএ