বগুড়ার গাবতলীতে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের সাথে শিক্ষক-কর্মচারীদের হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনায় দু-পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানায় অভিযোগকারীরা।
জানা গেছে, শনিবার (২৫ জুন) কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ফরম ফিলআপ করতে না দেয়ার কারণে গণ্ডগোলের সূচনা হয়। পরে কলেজের শিক্ষকরা ঐ শিক্ষার্থীর পক্ষ নিলে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শিক্ষকরা বলেন, নানা অনিয়মের কারণেই এই প্রতিবাদ করা হয়েছে। অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, কয়েক বছর আগে এই কলেজে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ৪১ জন শিক্ষকের কাছে থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিলেও আজো কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। বরং প্রতিনিয়তই তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হবে বলে ভয়ভীতি দেখায় অধ্যক্ষ ও তার পিতা কলেজের সভাপতি।
অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ রোজিনা আকতার নাইছ বলেন, অভিযোগকারী ঐ শিক্ষার্থীর বয়স অনেক বেশি আবার একেক জায়গায় একেক ধরনের বয়স রয়েছে যার কারণেই ফরম ফিলআপ করতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, এ কারণে তাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন প্রতিষ্ঠানে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের সাথে শিক্ষক-কর্মচারীদের হাতাহাতির ঘটনা তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একাত্তর/এসজে