সিরাজগঞ্জে একটি খাস জমিতে স্থানীয় প্রশাসনের গুচ্ছগ্রাম তৈরির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে দুই পক্ষে মুখোমুখি অবস্থান নিলে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের ঢিলে আঘাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে গাড়ির কাঁচ ভাঙে, আহত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন যে মাঠ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার পাশে নতুন খাসজমিতে গুচ্ছ গ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) সকালে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বলদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নাম লিয়াকত সালমান।
স্থানীয়রা জানায়, শত বছরের পুরনো বলদিপাড়া মাঠে আশেপাশের কয়েক গ্রামের শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করে। চলতি বছর এখানে গুচ্ছ গ্রামের জন্য জায়গা নির্ধারণ হয়েছে। এমন খবরে বিগত কয়েক মাস ধরে গ্রামবাসী একজোট হয়ে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
তাদের অভিযোগ, প্রশাসন খেলার মাঠটি ধ্বংস করে গুচ্ছ গ্রাম করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তারা জানান, রোববার সকালে মাঠে বালু ফেলার জন্য মাপজোক করতে আসবে এমন খবরে গ্রামের মানুষ সড়কে জড়ো হয়। পরে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে কে বা কারা ঢিল ছুড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ীর কাঁচ ভেঙে দেয়। আর ঢিলের আঘাতে এসিল্যান্ড আহত হন।
শাহজাদুপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় কর্মকর্তাদের নিয়ে শাহজাদপুর ফেরত চলে আসা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভেসে এলো আরও তিন জেলের মরদেহ
কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম ঝুনু জানান, সরকারি খাস জমিতে গুচ্ছ গ্রামের জন্য বরাদ্দ এসেছে। খাসজমিতে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কারোই নেই। তবে খেলার মাঠের বিকল্প ব্যবস্থা করার কথাও প্রশাসন ভাবছে বলে আমার বিশ্বাস। গ্রামবাসীকে হয়তো একটি চক্র ভুল বুঝিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ জানান, যে জায়গা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেটি সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠের পাশেই নতুন খাসজমিতে গুচ্ছ গ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই জায়গা পরিদর্শনের জন্য রোববার সকালে টিএনও, এসিল্যান্ড ও চেয়ারম্যান বলদিগ্রামে যায়। কিন্তু সেখানকার দুষ্ট প্রকৃতির কিছু মানুষ সাধারণ গ্রামবাসীকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সড়কে জড়ো করে সরকারি কাজ বাধা দেয়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একাত্তর/এসি